করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই নবাবগঞ্জের নয়নশ্রীর বি বি আই ইট ভাটা।

লিটন আহমেদ রানাঃ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে যখন সারা দেশ প্রায় লকডাউনে আছে। সরকারি নির্দেশে যখন দেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঢাকার নবাবগঞ্জের নয়নশ্রীর উত্তর বাহ্রার বি বি আই ইটভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে নবাবগঞ্জে। ইতিমধ্যে নবাবগঞ্জে ৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকাবাসীর নিজিস্ব রাস্তা দখল করে হরদম চলছে মাহেন্দ্র ও ট্রাক। সেই সাথে বিবিআই ইটভাটায় চলছে অবাধে শিশুশ্রম। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার নেই কোন পরিবেশ বিষয়ক ছাড়পত্র। বিবিআই ভাটার অংশিদার মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, এই পরিস্থিতিতে কেনো ইটভাটা চালু রেখেছেন জানতে চাইলে মনির হোসেন রাগান্বিত হয়ে বলেন, আপনারা কারা আপনাদের বলতে হবে? আমি আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেছি, আমি আইন জানি। কিছু জানা ও বলার থাকলে পুলিশ প্রসাশন বলবে। স্থানীয় খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার দুইটা জমির উপর দিয়ে এই ভাটার জন্য রাস্তা নিয়েছে, আমাকে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় নি, আমি ক্ষতিপূরন চাইলেই ভয় ভীতি দেখায় তারা। স্থানীয় সামছুল সাহা বলেন, ইট ভাটার মালিকেরা অমানবিক, এই পরিস্থিতিতেও তারা ইটভাটা চালু রেখেছে। তাছাড়া ইটভাটার জন্য আশেপাশের জমির চাষাবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিক বার জানানো হয়েছে, কিন্তু কোন কিছু হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দুজন বলেন, ইটভাটার৷ কারনে আমরা নিরাপদ নই, সারা রাত ঘরের পাশদিয়ে ট্রাক চলাচল করে। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে থাকি। রাতের বেলায় বাচ্চাদের ঘুমাতও সমস্যা হয়। অভিযোগ করলে কেউ কর্নপাত করে না। ইটভাটার আশেপাশে আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা ফসলি জমি রয়েছে যার ফসল দিন দিন কমে যাচ্ছে। উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এভাবে চলতে থাকলে একদিন এ সকল জমিতে কোন ফসল আর হবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন