নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইলে ১০ টাকা দরের চাল পায়নি শতাধিক পরিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেতে তালিকায় নাম থাকলেও চাল পায়নি প্রায় শতাধিক দরিদ্র পরিবার। ঐ ইউনিয়নের ৪,৫,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের ডিলার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে (২৬ এপ্রিল) রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এমনটাই লিখিত অভিযোগ করেন ঐ এলাকার শতাধিক দরিদ্র পরিবার।

তারা জানান, সরকারিভাবে তালিকায় নাম থাকলেও প্রথম কয়েকবার চাল পাওয়ার পর পরবর্তীতে চাল আনতে গেলে আর দেওয়া হয়নি। ইউপি সদস্য পবিত্র, ডিলার জাহাঙ্গীর এবং সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তারা বলেন তালিকায় নাম নেই চাল দেওয়া যাবে না।

অন্যদিকে যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ চঞ্চল বলেন, চার নং ওয়ার্ডে উপজেলার তালিকা অনুযায়ী ১ ‘শত ১০-১৫ জন দরিদ্র পরিবারের নাম রয়েছে। কিন্ত চেয়ারম্যান নন্দলাল সিং চার নং ওয়ার্ডের জন্য আমার কাছে ৫০ টি কার্ড দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তালিকা অনুযায়ী আর যেসব কার্ড রয়েছে সেগুলো কোথায় গেলো। এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বললেও তিনি কোন আমলে নেয়নি। এমনকি নামের তালিকা চাইলেও তিনি তালিকা দেয়নি। পরবর্তীতে ডিলার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে তালিকা চাইলে তিনিও দেয়নি। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা চালের জন্য প্রতিদিনই আমাদের কাছে আসে, আমরা এখন কি করবো।

চাল পায়নি ভুক্তভোগী লক্ষী প্রতিবেদককে জানান, দুই-থেকে তিনবার চাল পাওয়ার পর আর চাল পাইনি। চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে গেলে সমাধান দেয়নি। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী একজন মাছ ব্যবসায়ী। করোনার এমন দুর্যোগ পরিস্তিতিতে এখন সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য দ্বীজেন বাউল বলেন, পাঁচ নাম্বার ওর্য়াডে তালিকা অনুযায়ী ৮২ জনের নাম থাকলেও কিন্ত কার্ড পেয়েছি ৫০ টি এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্য রেখা পেয়েছে ২০ টি। তালিকা চাইলে চেয়ারম্যান এবং ডিলার কোন তালিকা দেয়নি।

শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে মাছ বিক্রেতা। তাদেরও এমন অভিযোগ দুএকবার চাল পাওয়ার পর এখন আর চাল পান না। এমনকি করোনার এমন দুর্যোগকালীন সময়ে পরিবার নিয়ে কষ্ঠে জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।

ডিলার জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তাদের দেয়া অভিযোগটি মিথ্যা। তালিকা অনুযায়ী চাল সবাইকে দেওয়া হয়েছে।

যন্ত্রাইল ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী নন্দলাল সিং মুঠোফোনে বলেন, চাল পাচ্ছে না এরকম তথ্য আমার কাছে নাই। তালিকা ডিলাররা এবং মেম্বাররা দিয়েছে, তারাই ভালো বলতে পারবে। ‘আপনি একটু উপজেলায় খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন দেখেন।–( কল রেকর্ড রয়েছে)

এবিষয়ে (২৭ এপ্রিল) সোমবার দুপুর ১:৪৭ মিনিটে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন