কাজে যোগ না দিলেও পোশাক শ্রমিকরা বেতন পাবেন

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তৈরি পোশাক কারখার মালিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি। কাজে যোগ না দিলেও শ্রমিকরা বেতন পাবেন বলেও মালিকপক্ষ এ সময় নিশ্চিত করে।

করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই, সীমিত পরিসরে দেশের উৎপাদনমুখী ও রপ্তাুনিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থানরত কর্মীদের দিয়েই কারখানা চালু রাখার কথা হলেও চাকরি বাঁচাতে গত কয়েকদিনে সারাদেশ থেকেই শ্রমিকরা যোগ দেন বিভিন্ন স্থানের পোশাক কারখানায়।

এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিজিএমইএ-বিকেএমইএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তৈরি পোশাক কারখানা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল আলম মহিউদ্দিন জানান, কারখানা খোলা থাকলেও ঢাকার বাহিরের শ্রমিকদের যোগ না দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ শ্রমিকের বেতন আমাদের দেয়া হয়ে গেছে। আরও ২ শতাংশ যারা আছেন সেগুলো নিয়ে আমাদের সংগঠনগুলো কাজ করছে।

এরপরই শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তৈরি পোশাক মালিক ও নেতৃবৃন্দ।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কাজে যোগ না দিলেও শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গার্মেন্টস মালিকরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসে অধিক সংখ্যক যাতে আক্রান্ত না হয় তার জন্য বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসবে না। ঢাকাতে যারা অবস্থান করছে তাদের দিয়েই কারখানা চালু করা হবে।

সীমিত পরিসরে খোলার কথা বলা হলেও এ সময়ে কতগুলো পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয় বলেও জানান স্বরাষ্টমন্ত্রী।

আপনি আরও পড়তে পারেন