আরিফ হোসেনঃ শ্রীনগরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোল্ডেন সিটিতে প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন স্বামী-স্ত্রী।পরে তাদের ৯ বছরের মেয়ের শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পরে। একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইণরত অবস্থায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা প্রতিদিনই জানতে চান শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। খোঁজ নিতে গিয়ে শুরুতেই মেয়েটার কথা বলেন। এতটুকু মেয়ে কি ভাবে যুদ্ধ করছে এই করোনা ভাইরাসের সাথে? ভাবতেই মায়ের অনুভূতি জেগে উঠে। নানা রকম শঙ্কায় ভাড়ি হয়ে উঠে মন। মেয়েটির পাশাপাশি তার বাবা-মায়ের সুস্থ্যতা চেয়ে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করেন।
বুধবার নিয়মিত খোঁজ খবরের পাশপাশি জানতে চান মেয়েটি কি খেতে পছন্দ করে। শিশুটির পছন্দের খাবারের বিষয়ে জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা সুন্দরভাবে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দেন ওই পরিবারটির বাসায়।
প্যাকেটের উপরে লিখে দেন-
“ছোট্ট সোনামণি,
বাবা-মা’কে নিয়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠো;
সুস্থ্য হয়ে উঠুক প্রিয় বাংলাদেশ!
পাশে আছি,পাশে থাকবো সবসময়।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের উপহার পেয়ে অনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে শিশুটি। শিশুটির মা-বাবাও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, শিশুটি ও তার বাবা-মা তিনজনই এখন আল্লাহর রহমতে অনেকটা সুস্থ। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ছোট মেয়েটিকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়ার জন্য এই উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনই পরিবারটির সাথে কথা হয়। এর আগে তাদের বাসার ময়লা ফেলা নিয়ে সমস্যা ছিল। এক সপ্তাহ আগে বড় বিনের মাধ্যমে আপাতত তা সমাধান করা হয়েছে। পরে এগুলো ডিসপোজাল করার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মানসিক সাপোর্ট খুব দরকার। সামাজিক ভাবে তাদেরকে সাহস দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।