দোহারে পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালী বিল, জনমনে ক্ষোভ।

 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

সারা দেশ যখন মহামারী করোনার থাবায় থমকে গিয়ে প্রতিটি নাগরিকের আয়- রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ কোনভাবে খেয়ে না খেয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের সাথে যখন যুদ্ধ করে যাচ্ছে। অথচ এ মুহুর্তে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অনুমান ভিত্তিক ইচ্ছামত অংক বসিয়ে একসাথে দু’মাসের বিলের কাগজ গ্রাহকদের ধরিয়ে দিচ্ছেন। মিটারের ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে বিল কাগজে কলমে লেখা হয়েছে বেশি ইউনিটের মূল্য। যা এই মুহূর্তে মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে ঢাকার দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ও বাড়িতে। কার্তিকপুর বাজারের স্টুডিও ব্যবসায়ী রানা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য আমার দোকান প্রায় এক মাস বন্ধ ছিলো, কিন্তু আজ আমাকে বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের লোক দু মাসের বিলের কাগজ দিয়ে গেলে দেখি গত মাসের সমপরিমান বিল এসেছে এবং অনেক ইউনিট ব্যবহার দেখাচ্ছে। তখন আমি মিটারে গিয়ে দেখি যত ইউনিট কাগজে লেখা আছে তত ইউনিট মিটারে নেই।তার থেকে কম ইউনিট ব্যবহার করেছি। একই অভিযোগ দেন বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ইমরান খান, ইউসুফ, হারুন ,কাজল,সাইফুল,মহাদেব সহ আরো অনেকে। আবার অনেকে বলছেন আগের চেয়ে বর্তমানে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। যে ঘটনায় দোহার উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুসুমহাটি ইউনিয়নের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “বর্তমান বিদ্যুৎ বিলের কাগজে আমার ঘরের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ করা হয়েছে।বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে ইনকাম বন্ধ তার মধ্যে পল্লি বিদ্যুতের অবাঞ্ছিত বিলে আমরা বিভ্রান্ত।

মাহমুদপুর ইউনিয়নের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, “চলমান মাসে আমার আবাসিক বাড়ির বিদ্যুৎ বিল রিডিং না দেখে অতিরিক্ত চারশত টাকা ধরা হয়েছে, যা অন্য মাসের তুলনায় দ্বিগুণ। “অনুমান ভিত্তিক আমার বাসা-বাড়ির বিলের রিডিং লেখা হয়েছে যা এখন পর্যন্ত মিটারে রিডিং হয়নি। অথচ আরো ১৫ দিন আগে রিডিং দেখানো হয়েছে তা এখন পর্যন্ত হয়নি। যা চরম অনিয়মের শামিল।” আরো অনেকে জানান আমরা এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন বাহানা দিয়ে অফিসের উপর দোষ বর্তায়। এবং অফিসে যেতে বলে। করোনা মহামারিতে দেশ লকডাউনে আছে অথচ তারা বলছে অফিসে গিয়ে সমাধান করে আসতে। পল্লী বিদ্যুতের এই খামখেয়ালি কাজ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে আমাদের। এ বিষয়ে দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখবো এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয় পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম খোরশেদ আলম বলেন, মহামারীর কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সমন্বয় করে বিল করেছি। কারো বিল অতিরিক্ত বেশি ধরা হলে তা অফিসে আসলে পূনরায় সংশোধন করে নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন