সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নারী ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইছি

সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নারী ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইছি

Brand Bazaar

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নারী ভোটারদের ভোট নৌকার পক্ষে আনতে মাঠে রয়েছে যুব মহিলা লীগ।  একান্ত সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যাপিকা অপু উকিল বলেন, আমাদের সংগঠনের সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয়ে টিম করে দেয়া হয়েছে। তারা তৃণমূলের নেত্রীদের নিয়ে প্রত্যেক বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত কাজ করছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার কি অবদান, তিনি দেশ ও বিশ্বের জন্য কি করছেন, নারীদের জন্য কি করছেন, তিনি কতটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রনায়ক- তা তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাইছেন।

 সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে নারী ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চাইছি

অপু উকিল বলেন, বিগত সম্মেলনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মঞ্চে রেখেই আমরা শপথ নিয়েছি- দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে যুব নারী নেতৃত্বকে সংগঠিত করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় নেমে যাব। শেখ হাসিনা সরকারের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আছে তা প্রচারের মধ্য দিয়ে নৌকায় ভোট চাইব। বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এটাই যুব মহিলা লীগের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রত্যেকটি ভোট বিশেষ করে নারী সমাজের কাছে আমাদের নেত্রীরা যাচ্ছেন। তাদের বোঝাচ্ছেন। শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তাদের ভোট যেন নৌকার পক্ষে আসে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যুব মহিলা লীগ।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শাসনামলে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের অপেক্ষাকৃত তরুণ নারী নেতাকর্মীদের একত্রিত করার জন্য ২০০২ সালে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সম্মেলনের পর থেকেই রাজপথে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় পাওয়া যায় এক সংগঠনের নেতাকর্মীদের। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল-পিকেটিং সে সময় অনেকেরই প্রশংসা কুড়ায়।

এ বিষয়ে অপু উকিল বলেন, যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল- তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পরে ১/১১ সরকার এসেছিল। তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার যে লড়াই তাতে সফল হয়েছিলাম।

যুব মহিলা লীগের কমিটিতে বয়স্কদের স্থান দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এমন অভিযোগ সত্য নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরাই প্রথম যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠা করি ২০০২-এর ৬ জুলাই। সেই থেকে নেতাকর্মীরা তাদের রক্ত দিয়ে, শ্রম দিয়ে, সময় দিয়ে এই সংগঠনটি গড়ে তুলেছে। সেই নেতাকর্মীরা সবাই যুব মহিলা লীগের কমিটিতে রয়েছে। একটি পুরনো মেয়েও কমিটির বাইরে রাখি নাই।

বয়সের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নেই তখন আমার বয়স কম ছিল। এখন বয়স বেড়ে গেছে, ৫০-এর কাছে চলে এসেছি। সে রকম অনেকেই আছেন যারা ২০০২-এ অনেক ইয়াং ছিলেন। এখন বয়স বেশি হয়েছে। তাদের কাউকেই আমরা বাদ দেইনি। সেটা করা উচিতও মনে করিনি। পাশাপাশি নতুন কিছু পদ তৈরি হয়েছে। যেহেতু যুব মহিলা লীগ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। তাই তাদের স্থান দেয়া হয়েছে। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। এর পাশাপাশি দু’একজন কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে কমিটিতে এসেছেন। তারাও আমাদের সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাজ করেছেন। তাদের অনেকে মহিলা আওয়ামী লীগে যেতে পারেননি, তাদের সদস্য করে রেখে দিয়েছি। সংগঠন থেকে তাদের ঝরে পড়তে দেইনি। তবে এর সংখ্যা খুবই কম, দু’-চারজন আছেন।

যেহেতু মহিলা আওয়ামী লীগ নামে আওয়ামী লীগের আলাদা একটি সহযোগী সংগঠন রয়েছে। তাই যুব মহিলা লীগের ক্ষেত্রে বয়সের নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্রে নেই। তবে যেহেতু আরেকটি সংগঠন আছে, তাই আমি মনে করি- বয়স্কদের মহিলা লীগ এবং তরুণদের যুব মহিলা লীগে থাকা উচিত। তবে আরেকটা কথা না বললেই নয়। অনেকের সংগঠনের প্রতি বা কাজের প্রতি যে স্পৃহা, তার মধ্যে যদি তারুণ্য থাকে তাহলে সেও যুব মহিলা লীগ করতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment