এই মহামারিতে ‘শরীর ফিট’ রাখতে তেঁতুলের জুড়ি নেই!

করোনা মহামারিতে সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতার বিকল্প নেই। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন সচেতনতার পাশাপাশি চাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। এর সঙ্গে জানতে হবে শরীর ফিট রাখার বিভিন্ন বিষয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে বর্ধিত বিষ শরীর থেকে বের করে দিতে হবে।এই বর্ষায় শরীর ফিট রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে তেঁতুলের শরবত। টক, মিষ্টির মিশেলে এক স্বর্গীয় স্বাদ। অনেকেই তেঁতুল খেতে খুবই পছন্দ করেন। চাটনি, সস, এমনকী ডেসার্টেও তেঁতুলের চল বহু প্রাচীন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে শরীরের বিষ উপাদান বের করে দেওয়া, মেদ ঝরানো ইত্যাদি নানা উপকার পাওয়া যায় তেঁতুলে। হার্ট ভালো রাখতেও তেঁতুলের কার্যকারিতা প্রমাণিত।

জেনে নিন রোজ একবার অন্তত তেঁতুল খাওয়া কতটা উপকারী?

১. তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েডস ও পলিফেনল থাকে। প্রতিদিন তেঁতুল খেলে মেদ ঝরে যায় দ্রুত, এই তথ্য গবেষণায় প্রমাণিত।

২. পেপটিক আলসারে অনেকেই ভোগেন। খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তেঁতুল পেটের মধ্যে এই আলসার রুখে দেয়। তেঁতুলে থাকা পলিফেনল এই ধরনের আলসার তৈরি হতে দেয় না।

৩. হজম শক্তি বাড়িয়ে দিতে তেঁতুলের জুড়ি নেই। বহু প্রাচীন যুগেও পেটের সমস্যা হলে বা পেট পরিষ্কার না হলে তেঁতুল দেওয়া হত রোগীকে। ডায়েরিয়া সারাতেও তেঁতুল খুবই কাজে দেয়।

৪. হার্ট ভালো রাখে তেঁতুল। বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের বৃদ্ধি রুখে দেয়। বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় রক্তের চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫. ডায়াবেটিস রোগীদের খুব উপকারী তেঁতুল। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন ডায়েটে তেঁতুল থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৬. লিভারও ভালো রাখে তেঁতুল। ফ্যাটি লিভার হয়ে গেলে, ডায়েটে রোজ তেঁতুল রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। লিভার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।

আপনি আরও পড়তে পারেন