গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম এ আদেশ দেন।

এদিকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি বাদলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং দেলোয়ারকে ঢাকা থেকে সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এর আগে রোববার এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় কয়েক বছর আগে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে ওই নারী ছেলে ও এক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার স্বামী। এ সময় অপরিচিত লোক দাবি করে তাকে বেঁধে রাখে স্থানীয় বখাটেরা। পরে ঘরের ভেতর ঢুকে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চালায় অমানুষিক নির্যাতন। সেই ভিডিও ধারণ করা হয়। নির্যাতনকারীরা তার স্বামীকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীর ভাই ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। ওই নারীর মা নেই। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন।

দোষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর এক মাস পার হলেও ভয়ে মুখ খোলেনি কেউ। কিন্তু সম্প্রতি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নিষ্ঠুর ও বর্বর এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন সবাই।

একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভূঁইয়া বলেন, এ জঘন্য ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হোক।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন