সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেই ধর্ষক-দুস্কৃতিকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেই ধর্ষক-দুস্কৃতিকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে ঘটনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বক্তব্যের সমালোচনা করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মাওলানা অধ্যক্ষ শাহ নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

রিজভী বলেন, ‘দেশে আজ কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। রাষ্ট্র যেখানে মদদ দেয় নিপীড়নকারীকে সেই দেশে বসবাস করা আসলেই খুব মুশকিল। আজকে এগুলোকে মদদ দিচ্ছে, এটাকে আশ্র্রয় দিচ্ছে, এটাকে উতসাহিত করছে মন্ত্রীরা। আইনমন্ত্রী কী বড় বড় কথা বলেন। আরে বাপরে বাপ। মনে হচ্ছে, আইনের অবদান।

আজকে তিনি (আইনমন্ত্রী) যদি এই টাইপের কথা বলেন যে, এটা (নোয়াখালীর ঘটনা) একটা ষড়যন্ত্র। মর্মমূলে না গিয়ে তিনি আগেই বলে দিলেন। অর্থাৎ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি আর চলতে পারে না।’

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘এমন বিভৎসতা স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। বিবস্ত্র করার পর ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে আপলোড করা ভয়ঙ্কর এবং কুরুচিপূর্ণ ঘটনা। এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তদন্ত করে তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

নোয়াখালীর নারী নির্যাতনের ঘটনা বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যে দেশে একটি ইউনিয়নের মধ্য, একটি ওয়ার্ডে এই ধরনের ঘটনা হয়-জেলা প্রশাসন ৩২ দিন জানে না। যে ধর্ষিত হয়েছে যার সম্ভ্রমহানি ঘটানো হয়েছে সে ভয়ে প্রশাসনের কাছে যায় না। নিপীড়নে ক্ষত-বিক্ষত নারী থানায় গিয়ে অভিযোগ করতেও ভয় পায়। তাহলে যে দেশে সুসভ্য মানুষ-নাগরিকরা কিভাবে বেঁছে থাকবে?

কারণ জানে এই সমস্ত অপরাধে যারা অপরাধী রাষ্ট্র আশ্রয় দেয়, তাদেরকে সরকার আশ্রয় দেয়। তাদের আশ্রয়দাতা হচ্ছে রাষ্ট্র। এভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গে্লে এটা যদি দুস্কৃতিকারীরা জানে তাহলে তাদের পরিণতি আরও খারাপ হবে, তাদের আরও হয়ত ইজ্জতহানির শিকার অথবা ভয়ভীতি দেখিয়ে হত্যা করা হবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন