পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না সালাহউদ্দিন

পোলিং এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না ঢাকা-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ। এজেন্ট নির্ধারণ করতে কর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষে পোলিং এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না তারা। হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় না থাকলেও সালাহউদ্দিনের উপর ক্ষোভ থেকেই এ অঞ্চলের বিএনপি কর্মীরা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেয়নি। এমটাই দাবি করেছেন স্থানীয় ভোটাররা। অন্যদিকে পোলিং এজেন্টদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে, মনোনয়ন পাওয়ার পর ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় শোডাউন তো দূরের কথা ভালো করে পথসভার আয়োজনও করতে পারেনি সালাহউদ্দিন। এজন্য বরাবরই তিনি অভিযোগ করে এসেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। যত না ভোট চেয়েছেন তার চেয়ে বেশি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই বিএনপি নেতা। সব মিলিয়ে অগোছালো প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে অংশ নেয়া সালাহউদ্দিন আহমেদকে ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী করায় ক্ষোভের থেকে এমনটি হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে অংশ নেয়া সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দূরের কথা মাঠে নামারও সাহস পাননি। নির্বাচনের দিন সকাল বেলায় মার খেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ভোট পান ২০ হাজারেরও কম। এছাড়া প্রায় এক যুগ সালাহউদ্দিন আহমেদের বিচরণ ঘটেনি অত্র ঢাকা-৫ এলাকায়। ২০০৮ এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটাই আড়ালে চলে যান এই নেতা। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। আর একাদশে অংশ নিলেও সালাহউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পান ঢাকা-৪ (শ্যামপুর-কদমতলী) এলাকায়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগ ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রাবাড়ী) এ দেখা মিলেনি সালাহউদ্দিন আহমেদের।

রাজনীতির মাঠে সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘দৌড় সালাহউদ্দিন’ নামে পরিচিত। ২০০৩ সালে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের দাবিতে সালাহউদ্দিনের নির্বাচনী এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা মানুষকে বিক্ষোভ বন্ধের হুমকি দিলে তখনকার এমপি সালাহউদ্দিনকে ধাওয়া দেয় জনতা। তিনি দৌড়ে এলাকা ছাড়েন- এমন ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ‘দৌড় সালাহউদ্দিন’ নাম মানুষের মুখে মুখে ছড়ায়।

ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে এমন একজন ব্যর্থ লোককে মনোনয়ন দেয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর এ ক্ষোভ থেকেই তারা নির্বাচনি কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন