মাথাপিছু জিডিপিতে পিছিয়ে পড়ায় সমালোচনার মুখে মোদি সরকার

ভারতের মাথাপিছু জিডিপি কমার পূর্বাভাসে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। এশিয়া মহাদেশের ১১টি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সেই তথ্য নিয়েও মোদি সরকারকে খোঁচা মারেন রাহুল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শ্রমশক্তি ও রপ্তানিকে গুরুত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলবে এটা আগে থেকেই অবধারিত ছিল।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক পূর্বাভাস চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। আইএমএফ বলছে, চলতি বছর মাথাপিছু মোট দেশীয় পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ থেকেও পিছিয়ে রয়েছে ভারত। পাঁচ বছর আগেও মাথাপিছু মোট দেশীয় পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ অপরদিকে ভারতের জিডিপি ১০ দশমিক ৩ শতাংশ কমবে।

আইএমএফ, ওয়ার্ল্ডমিটার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা কৌশিক বসুর সূত্রকে উদ্ধৃত করে সোমবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেন ভারতীয় কংগ্রেসের এমপি ও বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। জিডিপিতে একেবারে তলানিতে পৌঁছা প্রতি ১০ লাখে কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা যেখানে ৮৩; বাংলাদেশে সেখানে ৩৪ জন। টুইটে সেই তথ্যচিত্রের সঙ্গে রাহুল গান্ধী লেখেন, কীভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে হয় ও সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে কীভাবে আক্রান্ত করা যায়।

ভারতের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা করোনভাইরাস মহামারির বড় একটা প্রভাবকে উল্লেখ করলেও পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভারতের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়নের একটি নতুন গবেষণাপত্র বলছে, এটি অবধারিত ছিল।

গবেষণায় বলা হয়, মহামারি ছাড়াই ভারত মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়তো। তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম; দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশই গত কয়েক বছরে এই বিষয়ে দুর্দান্ত উন্নতি করে চলেছে। চীনকে অনুসরণ করে এ দুই দেশ শ্রমশক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে স্বল্প দক্ষ পণ্য উত্পাদন ও রপ্তানিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাছাড়া দোষ স্বীকার করে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণেও ভারত পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন