বাসাইলে স্বামীর বর্বর যৌনসঙ্গমে বলি স্কুল ছাত্রী নুর নাহার
মোঃ আল-আমিন শেখ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বাল্যবিয়ের বলি হলো নুর নাহার (১৪) নামের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর।গোপনাঙ্গতে রক্ত ক্ষরণের কারনে রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,বাসাইল উপজেলার কলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী নুর নাহার। ছাত্রীর পরিবার অস্বচ্ছল হওয়ায় মেয়েটি তার নানার বাড়ি কলিয়া গ্রামে থেকে পড়ালেখা করত।
গত ৩৪ দিন আগে উপজেলার ফুলকি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাস ফেরত রাজির খানের (৩৪) সাথে বিয়ে হয়। তবে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাদের বিয়ের রেজিস্টি হয়নি।অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই তার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
নুর নাহারের শশুরবাড়ির লোকজন তাকে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান। রক্তক্ষরণ হলেও তার স্বামীর পাষ-তা বিন্দু পরিমাণ কমেনি।পরে গত ২২ অক্টোবর তাকে টাঙ্গাইলের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।তার ময়নাতদন্ত শেষে তার নানার বাড়ির স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে নুর নাহারের নানা লাল খান জানান,মেয়েটির বিয়ের রাত থেকেই রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছিল।এরপর নুর নাহারের শাশুড়ি তাকে গ্রাম্য কবিরাজের নিকট থেকে ঔষুধ খাওয়াচ্ছিলো।পরে রক্তক্ষরণ বেশি হলে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ফিরোজুর রহমান জানান, নারীর প্রথম যৌন মিলনে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করে।অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। এ জন্য দ্রুত গাইনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল মতিন জানান,অভিযোগটি তদন্ত করছে পুলিশ। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
