চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

Sony Showroom Bangladesh

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সরবতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ও হাত পা বেঁধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে।

মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে রাতেই ধর্ষণের সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্বজনরা জানায়, গত (২ নভেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী প্রতিবেশী চাচী সুমির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এর কিছুক্ষন পরে একই এলাকার কামাল শিকদারের লম্পট ছেলে রতনও ওই বাড়িতে আসে। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিবেশী চাচী নির্যাতিতাকে কেক খাওয়ায়।

পরে নির্যাতিতা নিজ হাতে টিউবওয়েলে গিয়ে পানি খেতে চাইলে চাচী সুমি তাকে বাঁধা দেয় এবং লম্পট রতনকে ঘর থেকে পানি এনে দিতে বলেন। এসময় রতন পানি এনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণ পরেই নির্যাতিতা অচেতন হয়ে পরে। এসময় প্রতিবেশী চাচীর সহযোগিতায় ও নির্যাতিতার হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে রতন চলে যায়।

এদিকে নির্যাতিতা বাড়ি না ফেরায় তার বড় বোন এবং মা তাকে খুঁজতে আসলে চাচীর ঘরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় নির্যাতিতাকে। পরে এ বিষয়ে জানাজানি হলে লম্পট রতন নির্যাতিতার মায়ের কাছে এসে ক্ষমা চায় এবং কাউকে কিছু না জানানোর অনুরোধ করে।

অপরদিকে স্থানীয় মাতব্বররা তিনদিন মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে রতন ও প্রতিবেশী চাচী সুমির নামে দেলদুয়ার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাতে ধর্ষক ও সহযোগিকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ছাত্রীর মা।

বুধবার (৪ নভেম্বর) আদালতে নির্যাতিতা ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করাসহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে। ধর্ষণের সহযোগিতা করার অপরাধে মামলার দুই নম্বর আসামী সুমিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী সুমিকে আজ আদালতে পাঠানো হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন