৩২ বয়সে তিন বিয়ে, ‘গসিপে’ অন্যতম চরিত্র শ্রাবন্তী

খুব কম বয়সে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু শ্রাবন্তীর। ‘মায়ার বাঁধন’র পরই ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। দর্শক ছাড়াও আরো একজন ছিলেন যিনি শ্রাবন্তীর রূপ এবং গুণে মুগ্ধ হন।

রাজীব কুমার বিশ্বাস। টালিউডের অন্যতম পরিচালক রাজীব। কয়েকদিনের আলাপেই একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তারা। জানা যায়, ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবির সেটেই প্রেমালাপ শুরু হয় তাদের।

মাত্র ষোলো বছর বয়সে রাজীবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের ছেলে অভিমুন্য, ওরফে ঝিনুক। প্রথমদিকে সব ঠিক থাকলেও ধীরে ধীরে তিক্ততায় পরিণত হয় তাদের সম্পর্ক। ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজীব নাকি তার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতেন। মদ্যপান করে এসে কেবল শ্রাবন্তীকেই নয় রীতিমত তাদের ছেলে অভিমুন্যর উপরেও হাত তুলেছিলেন। যার পরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রাজীবের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা কাটতে না কাটতেই কৃষাণ ব্রজের সঙ্গে ২০১৭ এ সালের চুপিচুপি বিয়ে সেরে ফেলেন নায়িকা। কৃষাণ পেশায় একজন মডেল। জানা যায়, শ্রাবন্তীর সঙ্গে জিমে আলাপ হয় তার।

বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই কৃষাণের সঙ্গে তার সম্পর্কে চিড় ধরে। ডিভোর্স ফাইল করতেও বেশি সময় নেননি তারা। সকলকে তাক লাগিয়ে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় তাদের।

এ নিয়ে কম ট্রোলিংয়ের স্বীকার হননি তিনি। এমনকি তার ছেলে ঝিনুককেও ট্রোলিংয়ের তীরে বিঁধতে হয়। এসব ট্রোলিং এবং সমালোচনার কোনওদিনই ধার ধারেননি অভিনেত্রী। নায়িকার কথায়, প্রতিটি সিদ্ধান্ত একান্ত তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয় কাউকে কৈফিয়ত দিতে রাজি নন।

বিয়ের পর প্রথম পুজোর মৌশুম। ফলে তা খানিকটা স্পেশ্যাল করেই সাজিয়ে নিয়েছিলেন শ্রাবন্তী ও রোশন। পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছিলেন তারা। শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাঞ্জাবী পরিবারের এই ছেলের সঙ্গে শ্রাবন্তীর ভগ্নিপতির সুবাদে আলাপ হয়। সেখান থেকেই বাড়তে থাকে তাদের ঘনিষ্ঠতা। এমনকি ঝিনুকের সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে রোশনের। তাই বেশি ভাবনা চিন্তায় না গিয়ে চটজলদি বিয়ে সারেন তিনি।

সম্পর্কের টানাপড়েনের পর অবশেষে কিছুটা থিতু হয়েছে পরিস্থিতি, এমনটাই আশা করছে ভক্তরা। নিত্যদিন রোশনের সঙ্গে ভিডিও, ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শ্রাবন্তী। প্রতিটি পোস্টে ভক্তরা এও কামনা করছে শ্রাবন্তীর এই বৈবাহিক জীবন সুখের হোক।

আপনি আরও পড়তে পারেন