মো:জহিরুল ইসলাম,পেকুয়া, কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জাকের হোসেন নামের এক উদ্যোমী যুবকের প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে একটি কালভার্ট। একইভাবে টইটং ইউনিয়নের মধুখালী-বনকানন সড়কের সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে ব্যক্তিগত অর্থায়নে।
নিজের টাকা বিনিয়োগ করে সড়কের উপর নির্মান করেছেন আরসিসি কালভার্ট। এর ফলে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হয়েছে।
সড়কের একটি কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়। এতে কালভার্টের কারনে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেমে যায়। প্রায় ৩ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছিল। স্থবির হয়ে গিয়েছিল স্থানীয়দের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এ দিকে জাকের হোসেন নামের এক সমাজ সেবক সড়ক সংষ্কার ও বিধ্বস্ত আরসিসি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
গত ১ সপ্তাহ আগে বনকানন-মধুখালী সড়কের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। সড়কের খানা খন্দকে বালি, ইট,কংকর ও মাটি ভরাট করা হয়। এতে করে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সক্রিয় করা হয়। মধুখালী বনকানন সড়কের ছনখোলারজুম নামক স্থানে একটি কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়।
চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড পানির ধাক্কায় কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। জাকের হোসেন ওই কালভার্টটিরও নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
গত কয়েক দিন আগে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে সড়কের আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফুট প্রশস্ত ওই কালভার্ট নির্মাণের ব্যয়িত আড়াই লক্ষ টাকা জাকের হোসেন নিজ অর্থায়ন থেকে যোগান দেন।
মধুখালীর লম্বাঘোনা থেকে বনকানন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের পুন:সংষ্কারকাজও বাস্তবায়ন করেছেন তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা গেছে মধুখালী মোস্তাক সওদাগরের দোকানের পশ্চিম পাশ্বে গ্রামীণ সড়কের উপর একটি কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় ফরিদ সর্দার, মোস্তাক সওদাগর, হেলাল মেস্ত্রীসহ আরো অনেকে জানান, জাকের হোসেন ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে এ কালভার্টটি নির্মাণ করে।
গত বছর মধুখালী জামে মসজিদের নিকট আরেকটি কালভার্ট ওই ব্যক্তি নির্মাণ করেন। প্রতি বছর বর্ষার পরবর্তী সময়ে জাকের হোসেন মধুখালী সড়কে সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন করে। কালভার্ট ও সড়ক সংষ্কারে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
আনোয়ার হোসেন শুভ, ইমরান, এলাহাদাদ, মাছ ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ উল্লাহসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার এ উদ্যোগ আমরা কখনো ভূলবনা। সরকার কখন দিচ্ছে সে দিকে তাকিয়ে না থেকে জাকের হোসেন নিজেই সড়ক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে।
এ ব্যাপারে জাকের হোসেন জানান, মানুষ যখন দুর্ভোগে ছিল আমি এর প্রয়োজনীতা অনুভব করেছি। আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় করে কালভার্ট নির্মান করেছি। লম্বাঘোনা থেকে বনকানন পর্যন্ত সড়কে বালি ও মাটি ভরাট করেছি। গত বছর মধুখালীতে কালভার্ট নির্মাণ করেছি। এ বছর আমি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি নিজ পকেট থেকে।
টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী শাহাব উদ্দিন বলেন, আসলে এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। সমস্ত টাকা জাকের হোসেন ব্যয় করেছে। সড়ক সংষ্কার ও কালভার্ট নির্মাণে প্রচেষ্টা ছিল তার একক।