রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটক, চাহিদার শীর্ষে তাঁতপণ্য

রাঙামাটিতে বেড়েছে পর্যটক, চাহিদার শীর্ষে তাঁতপণ্য

শীত এলেই পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে আনাগোনা বাড়ে পর্যটকদের। সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই জেলায় ভিড় থাকে সব চেয়ে বেশি। হ্রদ, পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকরা ভ্রমণের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তাঁতে তৈরি কাপড় সংগ্রহ করেন। পর্যটকদের এই চাহিদার কারণে গড়ে উঠেছে শতাধিক তাঁতপণ্যের দোকান। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ মতে, স্থানীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে পর্যটন খাতটি। 

এখানে বেড়াতে এলে পর্যটকরা ভ্রমণের পাশাপাশি কেনেন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন তাঁতের তৈরি পণ্য। ঘোরাফেরা শেষে যাওয়ার পথে কেনাকাটার জন্য ঢোকেন তাঁতের তৈরি পণ্যের দোকানে।

ঘুরতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে কথা হলে তারা সময় সংবাদকে জানান, ঘুরতে আসার পেছনে অন্যতম কারণ পার্বত্য এলাকার উৎপাদিত পণ্যগুলো। কেউ কেউ পরিবারের জন্য কিনছেন ফতুয়া, থ্রিপিস, লুঙ্গি কিংবা গামছা। ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলছেন যখনই তারা এখানে ঘুরতে আসেন, কিছু না কিছু পার্বত্য পণ্য কিনেই ফেরেন সবাই।

পর্যটকরা সব ধরনের চাদর, ফতুয়া, পাঞ্জাবি কেনেন বেশি।

সেখানকার বিক্রয়কর্মীরা সময় সংবাদকে জানান, পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া আর গামছার মতো পাহাড়ি তাঁতপণ্য। আর এগুলোরই চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

শীত মৌসুমের জন্য উন্নতমানের পণ্যের প্রস্তুতি নিলেও করোনার শঙ্কার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন এলাকার বয়ন টেক্সটাইলের স্বত্বাবাধিকারী বাবলা মিত্র সময় সংবাদকে জানান, পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে আগের বছর থেকেই তৈরি করা হয় বিভিন্ন পণ্য। করোনার কারণে সেগুলোর সিংহভাগই বিক্রি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।

আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব যদি আবারও ভয়াবহ হয় তাহলে পর্যটকনির্ভর অধিকাংশ ব্যবসায়ীকেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান রাঙা টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী শওকত আলী খান টিটু।

পর্যটকদের তাঁতপণ্যে আগ্রহ থাকায় স্থানীয় অর্থনীতিকে বেগবান করছে বলে জানালেন জেলার ব্যবসায়ী নেতা।

রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি মো. শাহ আলম সময় সংবাদকে বলেন, তাঁতশিল্পকে ঘিরে রাঙামাটি একদিকে যেমন অনেক কর্মসংস্থান হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ি এসব তাঁতপণ্য রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আহরণ হচ্ছে। 

জেলায় তাঁতপণ্যের সঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার লোক জড়িত রয়েছে বলেও জানান এই নেতা।

আপনি আরও পড়তে পারেন