রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল চলাচল করবে। পরে ভুটান, নেপাল এবং ভারতের সঙ্গেও রেলপথ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বহুমাত্রিক উন্নয়ন ঘটবে।
মোংলাবন্দর থেকে সরাসরি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে রেল চলাচল করবে। রেল যোগাযোগে ঘটবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এ নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার বলে জানান মন্ত্রী।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি ভারতের জনগণও এ রেলপথ চায়, তাই এটা একটা সুযোগ। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইনের প্রাথমিক নকশা ও বাজেট তৈরি করা হয়েছে। ভৌগোলিকভাবে পঞ্চগড় অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং পর্যটনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা।
রেলপথ মন্ত্রী জানান, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করতে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে। চারটি নদীতে চারটি বড় সেতু নির্মাণ করা হবে। ২টি মাঝারি আকারের সেতুসহ ১২টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড় ১ আসনের সংসদ সদস্য মজারুল হক প্রধান, পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিঞা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, ও আব্বাস আলী, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রেজিয়া ইসলাম ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।