শরীফপুরে নাম ফলকে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকলেও নাম নেই আব্দুর রশীদের

শরীফপুরে নাম ফলকে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকলেও নাম নেই আব্দুর রশীদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হাসান জাবেদ


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটি নাম ফলক। শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন চৌধুরী ২০১০ সালে খোলাপাড়ার শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই নাম ফলকটি তৈরি করেন।

কিন্তু এই নাম ফলকে ইউনিয়নের জীবিত ও মৃত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিখা থাকলেও নাম নেই শুধু শরীফপুর গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রশীদের। ফলকটি তৈরির দীর্ঘ ১০ বছর পার হয়ে গেলেও এত বড় একটা অসঙ্গতি এখনো রয়ে গেছে, যা সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট কারও মাথা ব্যথা নেই। এই বিষয়টি নিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারসহ এলাকার অনেক সচেতন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদের ছেলে খাজা আহমদে বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হিসেবে আমরা সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি।

কিন্তু শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যে নাম ফলক তৈরি করেছেন তাতে আমার বাবার নাম অর্ন্তভুক্ত না করে চেয়ারম্যান আমার বাবাকে এবং আমাদেরকে অপমান করেছন। অথচ আমার বাবা একজন গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

গত ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের গণসংবর্ধণা দেওয়ার আয়োজন করেছিলেন চেয়ারম্যান। সেই অনুষ্ঠানে মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের হাতে ক্রেষ্ট দেওয়া হয়।

কিন্তু সেখানেও আমাদের পরিবারের কাউকে চেয়ারম্যান সাহেব দাওয়াত দেননি। বরং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে সংর্বধনা দিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ব্যস্ত,ত্রিশ সেকেন্ড সময়ও দেওয়া যাবেনা”।

আপনি আরও পড়তে পারেন