নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সীমান্তবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় ধর্ষণে সহায়তাকারী মায়া শেখ ওরফে পারভীন নামে এক নারীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ছয়জনকে আসামি করে ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করে। 


গ্রেপ্তাররা হলো উপজেলা সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মাখন দাস ও লেঙ্গুরা ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মোছা. পারভীন আক্তার ওরফে মায়া শেখ।


ঢাকার মহাখালীর ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টে কাজ করে নির্যাতিত কিশোরী ও মায়া শেখ। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় গত ২৯ ডিসেম্বর মায়া শেখের সঙ্গে কলমাকান্দায় বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। কলমাকান্দা যমুনা গেস্ট হাউসে একদিন থাকার পর মায়া শেখের মাধ্যমে শীতল নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্য গড়ে ওঠে। বুধবার শীতল কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে নিয়ে যায়।

দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে শীতলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে গভীর রাতে তাকে উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর এলাকায় পুকুরপাড়ে ফেলে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। ওই রাতে ৯৯৯-এ এক জনৈকের ফোন আসে যে একটি মেয়েকে কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে ধর্ষণ করছে। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি কলমাকান্দা থানার ডিউটি অফিসারকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ১৬ বছর বয়সী ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মাখন দাস ও ধর্ষণে সহায়তাকারী মোছা. পারভীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।


কলমাকান্দা থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক জানান, ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

আপনি আরও পড়তে পারেন