করোনা: বাংলাদেশে কমার কারণ কী?

করোনা: বাংলাদেশে কমার কারণ কী?

করোনায় কাঁপছে বিশ্ব। সংক্রমণের মাত্রা আবারো দ্রুত বাড়ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলোর হাসপাতাল। কিন্তু অনেকটাই বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ক্রমেই কমে আসছে বাংলাদেশের করোনার সংক্রমণের হার।

শনিবার (২ জানুয়ারি) গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৮৪ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ২৩ জন। রোববার দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৩৫ জনের দেহে। এ দিন মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।

তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বে যখন করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেন উন্নতির দিকে?

জানা গেছে, শীতকালে সাধারণত আমাদের দেশে চারটি ভাইরাস সক্রিয় থাকে। তবে করোনার অ্যান্টিবডি গ্রো হওয়ার কারণেই মূলত দেশে সংক্রমণ কমছে বলে মনে করেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য, খ্যাতিমান ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক আগ থেকেই শীতকালে ৪টি ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেমন-ইনফ্লুয়েঞ্জা (এ), প্যারো ইনফ্লুয়েঞ্জা (৩), রাইনোভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার কারণে সর্দি, কাশি। নিয়ম হচ্ছে একটি ভাইরাস থাকলে অন্য ভাইরাস ফুসফুসে ঢুকতে পারে না। এছাড়া করোনার কারণে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। তাই গরমের সময় শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করলেও এখন তা ৭-এর ঘরে নেমে এসেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যেহেতু হার্ড ইমিউনিটি বেড়ে গেছে তাই করোনা গ্রো করার জায়গা পাচ্ছে না। আগামী দিনগুলোতেও সংক্রমণ কমবে যদি না যুক্তরাজ্যের ভাইরাস আমাদের দেশে ঢোকে। তবে নতুন করোনাভাইরাস প্রবেশ করলেও বর্তমান হার্ড ইমিউনিটি কাজ করবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন