রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র-মদ ও সোনাসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাসায় রাতভর অভিযান চালিয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর সকালে মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে এক কোটি নয় লাখ টাকা, ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি, স্বর্ণালংকার, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। গোল্ডেন মনির একটি রাজনৈতিক দলের অর্থ জোগান দিত বলে জানিয়েছে র্যাব।
এছাড়া অবৈধভাবে আমদানি করা দুটি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। যার মূল্য তিন কোটি টাকার ওপরে। এছাড়া শোরুমে আরও তিনটি গাড়ি পাওয়া যায়।
নব্বই দশকে গাউছিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী মনির স্বর্ণ চোরকারবারি, হুন্ডি ও ভূমি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাড্ডা ও কেরানীগঞ্জে মনিরের দুই শতাধিক প্লটের হদিস পেয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোল্ডেন মনিরের আরেকটি পরিচয় আছে, সেটা হচ্ছে ভূমিদস্যু। রাজউকের অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকার শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, এর পাশাপাশি বাড্ডা নিকুঞ্জ উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে ২০০-এর বেশি প্লট রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কথা তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
এরপরে গণমাধ্যমে উঠে আসছে তার পেছনে মদদদাতাদের তথ্য। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে গোল্ডেন মনির সরকারদলীয় একজন প্রতিমন্ত্রীকে গাড়ি দিয়েছেন এবং এমপিদের সঙ্গে তার যোগসাজশ ছিল। এছাড়া তার বাসায় দুই শতাধিক প্লটের কাগজ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।