স্কুল কলেজ বন্ধ, বইয়ের ব্যবসা মন্দ

স্কুল কলেজ বন্ধ, বইয়ের ব্যবসা মন্দ

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ ঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অনেক বই ব্যবসায়ী ব্যবসার ধরণ পাল্টিয়ে বিক্রয় করছেন ক্রীড়া সামগ্রী, কসমেটিক্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
সরেজমিনে ঘুরে এমনি চিত্র দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকানগুলোতে। এই করোনাকালে উপজেলার বই ব্যবসাসীদের চোখে মুখে হতাশার চিহ্ন নিয়ে লাইব্রেরি বন্ধ করে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য পেশায়। এতে করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারি কোন ধরণের সহযোগিতা পায়নি তারা। জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা মতে সারাদেশের ন্যায় রূপগঞ্জেও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে বই, খাতা, কলম, গাইড নোট বইসহ শিক্ষা উপকরণও বিক্রি হচ্ছে না।
পুরান বাজারের বই ব্যবসায়ী দুলাল খান, শাহ আলম মিয়া জানান, সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। শুধু মাত্র ব্যবসাটি ধরে রাখার জন্য লাইব্রেরী চালু রেখে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। শুধু দুলাল খান ও শাহ আলম মিয়াই নয়। এ উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র বই ব্যবসায়ীরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারি সহযোগিতাসহ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেনও তারা।
শাহজালাল লাইব্রেরি ও বাপুস রূপগঞ্জ শাখার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, উপজেলার বইয়ের দোকানগুলো করোনা পূর্ববর্তী সময়ে অনেক জমজমাট ছিল। যা এখন অনেকটাই বিরানভূমি। আগে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখতাম। কিন্তু বইয়ের ব্যবসা মন্দাভাব থাকায় সপ্তাহে এক বা দুই দিন দোকান খোলা রাখি। বই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এখন অনেক লাইব্রেরি মালিকের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা পাঠ্যপুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও মাষ্টার লাইব্রেরির পরিচালক আলিম উদ্দিন বলেন, করোনায় বইয়ের দোকানগুলো বন্ধ যাচ্ছে। যেগুলো আছে তাও কোন রকম টিকে আছে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়করভূক্ত হলেও, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা পুস্তক বিক্রেতারা এখন পর্যন্ত কোন রকমের সুযোগ সুবিধা পাইনি। আমরা অসহায় বই বিক্রেতাগণ সরকারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করছি

আপনি আরও পড়তে পারেন