শ্বাসকষ্টে হলে অবহেলা নয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শের তাগিদ

শ্বাসকষ্টে হলে অবহেলা নয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শের তাগিদ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের বেশির ভাগেরই সংক্রমিত হচ্ছে ফুসফুস। অল্প সময়ের মধ্যেই সিটি স্কান কিংবা এক্সরেতে অনেক ক্ষেত্রেই মিলছে ৪০-৫০ শতাংশ ড্যামেজ। তাই শ্বাসকষ্টে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ।

হয়তো এমন দৃশ্যই এই অতিমারি মোকাবিলায় সাহস জোগায়। ভয়াবহতা জেনেবুঝেও শক্ত হাতে আপনজনকে ধরে রাখতেই প্রতিদিন আক্রান্ত বাড়লেও লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোগীর চাপ। পুরুষ রোগীর সিট খালি থাকলেও মহিলা ওয়ার্ডে আছে শয্যা সংকট। তাই তুলনামূলক খারাপ রোগী আগে ভর্তি নিচ্ছেন তারা।

তবে এই দফায় আক্রান্ত অধিকাংশই আসছে শ্বাসকষ্ট নিয়ে। টেস্ট রিপোর্টে আসছে ফুসফুস ড্যামেজ।

হাসপাতালটির টেকনোলজিস্ট বলেন, নারী রোগীদের ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না কারণ বেড নেই। তবে পুরুষ বেড কিছু খালি আছে। এখন বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৫০ ভাগ ফুসফুস ড্যামেজ পাওয়া যাচ্ছে। আগের করোনা রোগীদের একটা বয়সের বিয়ষ ছিল তবে এখন ২০ বছরের মানুষও পাওয়া যাচ্ছে। এখন আসলে বোঝার উপায় নেই। সবার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।   

কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন স্ট্রেইন খুব দ্রুতই ফুসফুসকে আক্রান্ত করছে। তাই দরকার হচ্ছে অক্সিজেন। সেক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টে অবহেলা আনতে পারে বড় বিপদ।

এর আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান সময় নিউজকে বলেন, জিনকে পরিবর্তন করে একটা নতুন ভাইরাস হয়েছে, ওই ভাইরাস এখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা একটা নতুন ভাইরাসের মতো করে সংক্রমিত হচ্ছে। আগেরটার হার্ড ইমিউনিটি এ ভাইরাসে কাজ করবে না। ওই ভাইরাসের হার্ড ইমিউনিটি ওই ভাইরাসের জন্য আছে কিন্তু এ ভাইরাসের জন্য ওই হার্ড ইমিউনিটি কোনো কাজ করছে না। এটা যদি ইউকেকেন্দ্রিক হয় এটার সংক্রমণ করার সক্ষমতা ৭০ ভাগ বেশি আগেরটার চেয়ে।

দেশে এপর্যন্ত করোনায় মৃত্যু নয় হাজার ছাড়িয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন