রূপগঞ্জে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে হামলা ককটেল বিষ্ফোরণ, গুলিবর্ষণ

রূপগঞ্জে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে হামলা ককটেল বিষ্ফোরণ, গুলিবর্ষণ

রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি ঃ

 

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে যেন চড় দখলের প্রতিযোগীতা চলছে। প্রচার প্রচারণার চেয়ে হুমকী দামকী অস্ত্রের মহড়া, জনগনকে ভয়ভীতি প্রর্দশণই বেশি চলছে। হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলছে। এ নিয়ে জনগন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। উৎসবের ভোট এখন আতঙ্কে পরিনত হয়েছে।
উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের সময় নাওড়া এলাকায় ২৭ অক্টোবর বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ১০/১২ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ও ৭/৮ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
দফায় দফায় থেকে সংঘর্ষ চলতে থাকে। ‘অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হাত পা কাইট্টা লা- চোখ খুইলা লা’ এমন হুমকির স্লোগান দিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের উপর তারা হামলা চালায়। একপর্যায়ে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা পচু প্রধান (৪০), ফজলুল হক (৪৫), যুবলীগ নেতা ওয়াসিম প্রধান (৩০), আমির হামজা (৪২), দুলাল (২২), ডাগু মিয়া (২৫) সহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭টি ককটেল উদ্ধার করেছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি জোসনা বেগম বলেন, নৌকা প্রতীকের গণসংযোগের সময় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী মিজানুর রহমানের নির্দেশে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে আমাদের গণসংযোগে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
এব্যাপারে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী বলেন, গতকাল ২৭ অক্টোবর বুধবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নাওড়া এলাকায় গণসংযোগকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিনা উষ্কানিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায়। হামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও অংশ নেয়।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। এর বাইরে তিনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। নাওড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  রাত ১০ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য আগামী ১১নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন