ডা. মুরাদের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

ডা. মুরাদের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সম্প্রতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান থানায় মামলা দায়ের করলে আতশবাজি জ্বালিয়ে উৎসব পালন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীরা। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থক মোর্শেদের নেতৃত্বে এ আতশবাজির উৎসব করে। উৎসবে একত্রিত হওয়া সকলেই মুরাদ হাসানের প্রতিপক্ষ বলে সকলেই জানেন। পুলিশ বাধা দিকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উৎসুক সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হন। আহত সদস্যরা হলেন- এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে রফিকুল ইসলামের সমর্থক মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক যমুনা সার কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। রাতভর আতশবাজির উৎসব পালন করেন। তাদের উৎসবে পুলিশ বাধা প্রদান করলে তারা সংঘর্ষে জড়ান। সেসময় সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থক মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হলে তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। তারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করলে পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হন। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এর কর্মী সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় দুই পক্ষের মিছিল ও প্রতিবাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ কোন অপকর্ম কে প্রশ্রয় দেয় না। প্রত্যেক অপরাধীর অপরাধের দায়ভার তাদের নিজেদের। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে ও ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলার নেতাদের সাথে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

তবে রফিকুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এলাকায় কিছু ঘটলেই কি আমার লোক? আমার লোক পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আক্রমণ করবে, আর তা আমি জানব না? আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।’

সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। এইমধ্যে ১৫/১৬ জনকে আসামী করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১ নম্বর আসামি মশিউর রহমান মোর্শেদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন