পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে আবারও দিন-দুপুরে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিশ্বনাথ সদর-ছালিয়া সড়কের দশঘর নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিনের বাড়ীর সামনের এলাকা থেকে এই গাছ কর্তন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের তৈমুছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম গাছগুলো কর্তন করেছেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারী মঙ্গলবার উপজেলার তেলিকোনা গ্রামের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার সরকারী সড়কের গাছ কর্তনের অভিযোগ ওঠে একই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আবদুশ শহিদের বিরুদ্ধে। সুত্র জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিনদুপুরে রেজিয়া বেগম লোকজন দিয়ে নিহালের নোয়াগাঁও এলাকার ইউপি সদস্য শামসুদ্দিনের বাড়ীর সামনের এলাকা থেকে বড় তিনটি গাছ কর্তন করেন। খবর পেয়ে পরদিন রবিবার দশঘর ইউনিয়নের তহশিলদার অসিত পাল চৌধুরী সেখানে গিয়ে কর্তনকরা গাছগুলো জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুদ্দিনের জিম্মায় রেখে আসেন।
সরজমিন ১ মার্চ বৃহষ্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়ক লাগোয়া অংশের তিনটি বড় গাছ কর্তন করা হয়েছে। পাশে কর্তনকরা গাছগুলো সারিবদ্ধ করে রাখা। অভিযুক্ত রেজিয়া বেগম গাছ কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জ্বালানী লাকড়ির প্রয়োজনে গাছগুলো কেটেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন বলেন, রেজিয়া বেগম যখন গাছগুলোর ডালপালা ছাটাই করে, তখন তাকে এগুলো কর্তন নিষেধ করি। সে আমার কথা না শুনেই সেগুলো কেটে ফেলে। দশঘর ইউনিয়নের তহশিলদার অসিত পাল চৌধুরী বলেন, সরকারী গাছগুলো কর্তনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট প্রদান করেছি। বিশ্বনাথ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, গাছগুলো এলজিইডি’র। তাদেরকে গাছকর্তনের ঘটনায় মামলা দেয়ার জন্যে বলা হবে।