গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বিশ্বের ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬।দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থান ভুটানের- ৯৪। নেপালের অবস্থান ১০৬, আফগানিস্তান ১১৮, শ্রীলংকা ১৩১, মিয়ানমার ১৩৭, ভারত ১৩৮, পাকিস্তান ১৩৯, থাইল্যান্ড ১৪০ এবং কম্বোডিয়ার অবস্থান ১৪২।

গণমাধ্যমের ও সাংবাদিকদের অধিকারে নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার ‘গণমাধ্যমের স্বাধনীতা সূচক ২০১৮’-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছর একই অবস্থানে থাকলেও স্কোরের দিক থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবছর আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নেতিবাচক স্কোর ছিল ৪৮ দশমিক ৩৬। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৬২। আফ্রিকার দেশ উগান্ডা বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে রয়েছে। ১৮০ দেশের সূচকে দেশটির অবস্থান ১১৭।

বাংলাদেশে সাংবাদিক ও ব্লগারদের ওপর উগ্রপন্থীদের হামলা এবং হুমকিকে বাকস্বাধীনতায় অন্যতম বাধা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া বলা হয়েছে, বাংলদেশে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত হামলা ও মামলার কারণে সেলফ সেন্সরশিপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন, এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় কয়েকশ ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারী বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে দেশে রাজনৈতিক নেতারা মিডিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সমর্থকদেরকে প্রকাশ্যে উস্কে দিচ্ছেন। একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো নিজেদের মতো করে সাংবাদিকতাকে ব্যবহারের যেসব চেষ্টা করছে- যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হয়ে উঠছে।

এদিকে ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বছরের মতো সূচকে আরও পিছিয়েছে। গত বছরের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪৫।

সূচকে প্রথম ৫টি দেশের অবস্থার যথাক্রমে নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, ও সুইজারল্যান্ডের।  শেষের দিক থেকে ৫টি দেশ হলো যথাক্রমে উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, তুর্কমেনিস্তান, সিরিয়া ও চীন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment