এমনটাও হয় নাকি? ফুটবল স্টেডিয়ামে ভূত! তবে নামজাদা খেলোয়াড় থেকে স্টেডিয়ামের কর্তাব্যক্তি সবাই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন নানা সময় নাকি তারা অশরীরী কিছু দেখেছেন বা অনুভব করেছেন। এক ঝলকে দেখে নেয়া যাক বিশ্বের এমনই পাঁচটি ‘হন্টেড’ স্টেডিয়ামের ভুতুরে কাণ্ডকারখানার গল্প। ‘ভূত’ অবশ্য এই স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা আটকাতে পারেনি।
স্টেডিয়াম অব লাইট (সান্ডারল্যান্ড)
২০০৫ সালে স্টেডিয়ামের ব্যালকনিতে কালো ছায়া দেখে আঁতকে উঠেছিলেন ২ কর্মী। আইরিশ স্ট্রাইকার স্টিফেন ইলিয়টও নাকি একেবার ‘ভূতের’ মুখোমুখি পড়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকে স্টেডিয়ামটিকে ঘিরে ভূতের নানা গল্প চাউর হতে থাকে। স্টেডিয়াম কর্তাদের বিশ্বাস, কোনও জলদস্যুর ভূত নাকি ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে স্টেডিয়ামের আনাচ কানাচে।
গাজি স্টেডিয়াম (কাবুল)
শোনা গিয়েছে, তালেবান নাকি নিরীহ মানুষদের ধরে এনে এই স্টেডিয়ামের ভিতর শিরচ্ছেদ করত। মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় এটি ছিল তালেবানদের ঘাঁটি। বহু সেনাকে এখানে এনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয়েছে। সেই থেকে মানুষের বিশ্বাস ওই মৃত ব্যক্তিদের আত্মা নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে স্টেডিয়ামের সর্বত্র। রাতে কান পাতলেই নাকি নানা ফিসফিসানি শোনা যায়।
হাইবারি (আর্সেনাল)
দক্ষিণ লন্ডনের হাইবারিতে আর্সেনাল স্টেডিয়ামে নাকি এখনও দেখা যায় বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় ও আর্সেনালের প্রথম ম্যানেজার হারবার্ট চ্যাপম্যানের আত্মাকে। হারবার্টের হাত ধরেই আর্সেনাল প্রথম ১৯২৩-২৪ মৌসুমে লিগ জেতে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার। জীবনের শেষ ক’টি দিন এই স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখেছিলেন হারবার্ট।
সেন্ট ম্যারিস (সাউদাম্পটন)
২০০১ সালে সাউদাম্পটনে গড়ে ওঠে এই স্টেডিয়াম। ম্যানেজার স্টুয়ার্ট গ্রে প্রথম স্টেডিয়ামের ভিতর তার ‘ভৌতিক’ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তারপর থেকেই লোকমুখে চাউর হতে থাকে নানা অশরীরী গল্প। শোনা গিয়েছে, এই স্টেডিয়ামের জায়গায় নাকি আগে কবরখানা ছিল। কর্তৃপক্ষের ধারণা, কবর ভেঙে ফেলায় অতৃপ্ত আত্মারা বদলা নিতেই স্টেডিয়ামের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়।
এস্তাদিও দো দ্র্যাগো: ২০১২ সালে পিএসজিকে হারিয়ে পোর্তো খেলোয়াড়েরা যখন উল্লাসে ব্যস্ত, স্টেডিয়ামের দর্শক সনে ক্যামেরাবন্দি হয় এক আবছায়া বয়স্ক লোকের ছবি। দর্শকদের দাবি, সেই মূর্তি নাকি একবার দেখা দিয়েই মিলিয়ে গিয়েছিল। তারপর নানা সময়ে নাকি স্টেডিয়ামে অশরীরীদের দেখা পেয়েছেন দর্শকেরা। সেই থেকেই ওই স্টেডিয়ামটিকে ‘হন্টেড’ বলে দাবি করে আসছেন স্থানীয়েরা।
সূত্র: আনন্দবাজার