মোঃ আল মামুন খান, ধামরাইঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সাথে এমন ঘটনা ঘটে বলে ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ধর্ষিতা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একই গ্রামের বখাটে লিটনসহ (২১) আরও ৫ জনকে আসামি করে১১ জুলাই (বুধবার ) রাতে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক এবং মামলার প্রধান আসামী লিটন সুয়াপুর এলাকার সাগর আলীর ছেলে। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে’ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষিতার মায়ের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ধামরাই সরকারি কলেজের ছাত্রী তার মেয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নির্জনস্থানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট লিটন। এ সময় গলায় ছুরি চেপে ধরে ধর্ষণের সেই দৃশ্য মুঠোফোনেও ধারণ করে সে। এর পরে সে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র এলাকার নারী-পুরুষের মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও তা হয়নি। এ বিষয়ে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সোহাব বলেন ‘আমরা মিমাংসার জন্য উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। এজন্য থানায় মামলা হয়েছে। এখন আদালতের বিষয়।”
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক ভজয় রায়ের মুঠোফোনে জানিতে চাইলে তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহায়তা, পর্নগ্রাফি ধারণে বাধ্য করা, সামাজিক মর্যাদাহানির ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, ইন্টারনেট ও মোবাইলে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হক দিপুর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসটি যেসব মোবাইলের দোকানে রয়েছে, সেসব ব্যবসায়ীকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
