ফেসবুকে কোনটা আসল এবং কোনটা ‘ফেক’ অ্যাকাউন্ট ?

সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এখন আর কেউ ভাবতেই পারে না ৷ দিনে সময় পেলেই টাইমলাইনে অন্যদের আপডেটস, নিজের ছবি এবং স্টেটাস পোস্ট বা মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতে সবারই ভাল লাগে ৷ আবার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটিংয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিপদও ৷ কারণ অবশ্যই ফেক প্রোফাইল ৷

ফেসবুক-টুইটারে রয়েছে অসংখ্য ফেক প্রোফাইল ৷ তাতে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুর প্রোফাইলটি আসল না নকল ? সেটা বোঝাটাও একটা কঠিন বিষয় ৷ তবে বেশ কিছু উপায় রয়েছে, ফেক প্রোফাইল বোঝার ৷ সেগুলো কী দেখে নিন একবার-

১। প্রোফাইল পিকচার-

বেশ কিছু ছবি আছে যা অনেক ফেক আইডিতেই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করা হয় ৷ সেগুলো একটু ভাল করে দেখলেই বোঝা সম্ভব ৷ সেসব ছবি যদি ব্যবহার হয়, তাহলে বুঝবেন ওই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর কোনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করার সময় দেখে নিন, সেই প্রোফাইলে খুব কম সংখ্যায় ছবি নেই তো ? অনেক সময় মাত্র একটা ছবিও থাকে অনেকে প্রোফাইলে ৷ সেসব ক্ষেত্রে আইডি-টি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ৷

২। ফ্রেন্ডলিস্ট-

কারোর ফ্রেন্ডলিস্ট দেখাটা এখন সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না ৷ কারণ অনেকেই নিজের ফ্রেন্ডলিস্ট পাবলিক করে রাখেন না ৷ কিন্তু যদি থাকে , সেক্ষেত্রে দেখে নিন বন্ধুরা কারা ৷ কারোর সঙ্গে আপনার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কী না ৷ যদি আছে তাহলে সেই মিউচুয়াল ফ্রেন্ড কেমন ব্যক্তি ৷ এমনকী, নতুন বন্ধু সম্পর্কে সেই মিউচুয়াল ফ্রেন্ডকেও জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন ৷

মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে যদি ৩-৪ হাজার বন্ধু থাকে ৷ তাহলেও সেটা অনেক সময় ফেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ অনেক পুরুষ মানুষই আবার রয়েছেন, যারা মেয়েদের নামে এবং ছবি দিয়ে এক বা একাধিক ফেক প্রোফাইল খুলে রাখেন ৷ কোনও অন্য মেয়ের প্রোফাইল থেকে ছবি নিয়ে ফেক প্রোফাইল তৈরি করেও অনেকে চ্যাট করেন ৷ বেশি সংখ্যায় মেয়েদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও আসে এই সমস্ত মেয়েদের ছবি এবং নাম দিয়ে তৈরি ফেক প্রোফাইলগুলিতে ৷

৩। খারাপ ছবি-

আইডিতে যদি কোনও কুরুচিকর বা পর্ন ছবি থাকে ৷ তাহলে সেই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ৷ কারণ কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তিই চাইবেন না নিজের প্রোফাইলে এই ধরণের ছবি রাখতে ৷

৪ । পেজ লাইক-

আপনার সন্দেহের আইডিটি কী ধরনের পেজে লাইক দিয়েছে সেটা তার রিসেন্ট অ্যাক্টিভিটি দেখলেই স্পষ্ট হবে ৷ ফেক আইডিতে বেশ কিছু অ্যাডাল্ট সাইটের পেজে লাইক আপনি পাবেনই পাবেন ৷ এছাড়া দেখে নিন প্রোফাইল ডিটেলস ৷ সেখানে সেই ব্যক্তির স্কুল-কলেজ এবং অন্যান্য সব ডিটেলস খুঁটিয়ে দেখুন ৷ সঙ্গে দেখুন ছবির অ্যালবামগুলি ৷ তাহলেই প্রোফাইল সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মাবে আপনার ৷

৫। মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে কী না-

কোনও মেয়ের আইডিতে যদি দেখা যায় তাতে এক বা একাধিক মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে, তাহলে বুঝতে হবে সেই আইডিটা ফেক। কারণ কোনও নারী ফেসবুকে তার নম্বর পাবলিক করে রাখেন না। দিলেও সেটা ‘অনলি মি’ করে রাখেন যাতে কেউ দেখতে না পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment