শ্রীনগরে যুবতীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের সামনে রক্তের দাগ ও পরকীয়া প্রেম !

আরিফ হোসেনঃ

শ্রীনগরে যুবতীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ একটি দোকানে রক্তের দাগ ও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ককে সামনে রেখে হত্যার রহস্য উদঘাটন ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে। গত শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বাড়ৈখালী বাজারের চাঁন সুপার মার্কের নীচ থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় লিমা আক্তার লিমু (১৮) নামে এক যুবতীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চাঁন মার্কেটের দর্জি ঘর নামে কাপড়ের দোকানে রক্তের দাগ দেখে ওই দোকানের মালিক খোকন (৩৫) কে মামলায় আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে খোকন পলাতক রয়েছে। বাড়ৈখালী বাজারের একাধিক দোকানদার জানান, লিমু প্রায় সময়ই ওই দোকানে যাতায়াত করত। খোকন ও লিমুর আচরণ নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের জের ধরে লিমুকে খুন করা হতে পারে। খোকনের বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামে। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অপরদিকে লিমুর মা মারা যাওয়ায় বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। লিমু স্থানীয় বাড়ৈখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকনের ভাই লিটন ও সুজন সহ দোকানের ২ কর্মচারীকে আটক করেছে। এঘটনায় লিমুর বাবা বাড়ৈখালী গ্রামের আঃ মতিন বাদী হয়ে এজাহারে খোকনের নাম উল্লেখ করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লিমু ৫ দিন আগে কাপড় কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর লিমুর বাবা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এর পরদিন হাত পাঁ বাধা অবস্থায় লিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, মামলার আসামী খোকনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment