নওগাঁয় বিআরটিএতে ৮ মাসে ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

 স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ :

নওগাঁ জেলায় সম্প্রতি বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশন, রোড পারমিট নবায়ন, ট্রেড সার্টিফিকেট নবায়ন, লারনার লাইসেন্স ইস্যু ইত্যাদি কার্যক্রম ব্যপকভাবে সম্পাদিত হচ্ছে। যানবাহন চালক ও মালিকদের যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র এবং বৈধ লাইসেন্স নেয়ার প্রবনতা বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানবাহনের চালক ও মালিকদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে। নওগাঁ বিআরটিএ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চলতি বছর এ পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে মোট ৭ কোটি ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ টাকা রেভিনিউ আদায় করেছে। গত ১জানুয়ারী’১৮ থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এই ৮ মাসে উল্লেখিত পরিমান অর্থ আয় হয়েছে সরকারের। সূত্রমতে বিভিন্ন খাতে সম্পাদিক কার্যক্রম এবং প্রাপ্ত আয়ের পরিমান হচ্ছে ৪ হাজার ৪৭৭টি যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন বাবদ আয় ৩ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ২শ ৩৬ টাকা, ৪৪টি ডুপ্লিকেট রেজিষ্ট্রেশন বাবাদ আয় ১৫ হাজার ১৮০ টাকা, একটি যানবাহনের এনডরসমেন্টট করে দিয়ে ৮৬৩ টাকা, ৬০টি যানবাহনের মালিকানা পরিবর্তন বাবাদ ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৬ টাকা, ৩টি যানবাহনের মোডিফিকেশন বাবদ ২ হাজার ২৪৪ টাকা, ১টি যানবাহনের এনডরসমেন্ট অব হায়ার পার্সেস বাবাদ ১ হাজার ৭২৫ টাকা, ১৫টি যানবাহনের ফিটনেসস ইস্যু বাবদ ১৬ হাজার ৩০৫ টাকা, ৪৭৩টি যানবাহনের ফিটনেস নবায়ন বাবদ ১০ লাখ ৭৪৫ হাজার ৪৪৭ টাকা, ৪৮টি যানবাহনের ফিটনেস-এর নকল সনদপত্র বাবাদ ৯ হাজার ৬৭ টাকা, ১৯টি যানবাহনের বিভিন্ন যানবাহনের রুট পারমিট প্রদান করে ১ লাখ ১০ হাজার ১৩০ টাকা, ১টি যানবাহনের ডুপলিকেট রুট পারমিট ইস্যু করে ৩৩৪ টাকা, ৪ হাজার ৪৭৮টি ট্যাক্স টোকেন ইস্যু করে ১ কোটি ১২ লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা, ৫ হাজার ৭৩৩টি লারনার লাইসেন্স ইস্যু করে ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ টাকা এবং ৪৫ হাজার ৯২০টি বিবিধ কার্যক্রমের দ্বারা ২ কোটি ৭৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯১ টাকা। এ ছাড়াও এই সময়ে ৪ হাজার ২২১ জন চালকদের লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোট আয় হয়েছে ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৭৯ জন পেশাদার চালকদের লাইসেন্স প্রদান করে আয় হয়েছে ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৫ টাকা এবং ২ হাজার ৫৪২ জন অপেশাদার চালকদের লাইসেন্স প্রদান করে আয় হয়েছে ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯০ টাকা। নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন গণসচেতনতামুলক এবং প্রচারধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে একটি সচেতনার সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা দুরীভুত হচ্ছে। এই কারনে বিশেষ করে যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বৈধতা ফিরে এসেছে। কাজেই যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র তৈরী করতে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। #

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment