উন্নয়নের জোয়ার! কাউন্সিলরের  বাড়ির সামনের রাস্তায় হাটু পানি।

মামুন মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরী হওয়ায় এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছে। কোন কোন রাস্তায় আবার বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে থাকে। এ কারনে  এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগে দিন পার করছে। ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তার ফ্লাট সোলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে জীবননগর পৌর নির্বাচনের মেয়াদ আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও পৌর  ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে তেমন কোন উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি রাস্তাগুলো একেবারে বেহালদশায় রয়েছে যেন কর্তৃপক্ষ দেখে না দেখার ভান করছে।
এবিষয়ে পৌরসভার ৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর  সাংবাদিক আতিয়ার রহমান জানান শুধু ৩ নং ওয়ার্ডই নই প্রায় সব জায়গাতেই কমবেশী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মেয়র সাহেব প্রতিশ্রতি দিয়েছেন সকল রাস্তাঘাটের কাজ  অল্পসময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে। আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।এব্যাপারে প্রতিটি মাসিক মিটিং এ মেয়রকে অনুরোধ জানালে আজও রাস্তার সংস্কার কাজ হয়ে ওঠেনি।
মেয়র সাহেবের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো আছে।
এদিকে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে পৌর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাংবাদিক আতিয়ার রহমান প্রতিবাদ করায় তার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে বনবনি না হওয়ায় তুলনামুলক তিন নাম্বার ওয়ার্ডে উন্নয়ন কম হয়েছে।জীবননগর পৌরবাসীর শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলেও বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেশ কিছু কাজ  করেছেন। এবিষয়ে জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর
জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে একটি মুক্ত মঞ্চ, রাস্তায় আলোকসজ্জা,বিভিন্ন গোরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন,পৌর শহরের প্রধান সড়ক পিচকরণ,রাস্তা টেকসই করতে ভারী যানবাহন চলাচল ঠেকাতে বিশেষ পোষ্টের ব্যবস্থা,প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাসহ পৌর এলাকার গুণী,সমাজসেবকদের রাস্তার নামকরণ,শহর পরিস্কার করতে বিশেষ কর্মসুচী, এবং মাদক প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
এবং পৌরশহরের সব কাজ আমি অতি শিগ্রই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। জনদূর্ভোগমুলক কাজগুলো অগ্রাধীকার ভিত্তিতে করা হবে বলে তিনি জানান। পৌর মেয়রের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মুখে আলোচনা থাকলেও পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ রাস্তা ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় বেশীর নাগরিকই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার ফ্লাট সোলিং অনেক আগেই উঠে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মেয়াদ প্রায় ১৪-১৫ বছর হয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলো তার প্রকৃত অস্তিত্ব হারিয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তায় বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।বিশেষ করে শাপলাকলিপাড়া,নারায়নপুর,ডাঙ্গাপাড়া,সুবলপুর,দৌলৎগঞ্জ,রাজনগর,ইসলামপুর.গোপালনগরের বেশ কিছু রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক পিচ রাস্তারও পিচ হয়ে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের দাবী জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন এখানে হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment