তরকারি বিক্রেতাকে নারীর সঙ্গে বেঁধে পিটুনি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক তরকারি বিক্রেতাকে নারীর সঙ্গে শেকলে বেঁধে পেটানো হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই ব্যবসায়ী ও নারী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের মাথার চুল কেটে, একত্রে শেকলে বেঁধে মারপিট করেছে।

রোববার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে  স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লোকজন নিয়ে বাধা দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও ভগ্নিপতি জানান, নির্যাতিত ব্যবসায়ী পিকআপ ভ্যান চালানোর পাশাপাশি আড়ৎ থেকে কাঁচামাল কিনে খুচরা বিক্রি করেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় বক্তারপুর ইউনিয়নে পাওনা টাকা আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে ব্রাহ্মণগাঁও মাদ্রাসার পাশের রাস্তা থেকে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জেরে কয়েকজনকে নিয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তারা জোর করে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকিয়ে ফেলে। সেখানে বাড়ির উঠানে ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করে মাথার চুল কেটে ফেলা হয়।

asadgggg

ঘটনার সময় ওই বাড়িতে গৃহকর্তা ছিলেন না। উঠানের ওপর মারধরের ঘটনায় তিন সন্তানের মা ওই বাড়ির গৃহবধূ এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগীরা। একপর্যায়ে তারা তরকারি ব্যবসায়ী এবং ওই গৃহবধূর পায়ে একসঙ্গে শেকল বেঁধে ঘরের ভেতর আটকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর গ্রামে গিয়ে প্রচার চালায়, তরকারি বিক্রেতাকে অবৈধ সম্পর্কের দায়ে গৃহবধূর সঙ্গে ধরা হয়েছে।

পরে রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরো কয়েকজন এসে সালিশের কথা বলে তরকারি বিক্রেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ফারুক দাবি করেন, ওই তরকারি বিক্রেতা ও গৃহবধূর বিরুদ্ধে আগেও আরো অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে পায়ে শেকল বেঁধে মাথার চুল কেটে ফেলা একটি অমানবিক কাজ। এটি করা ঠিক হয়নি।

এদিকে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment