ভ্যান এখন ইঞ্জিন চালিত দ্রুতগতীর যান

শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি ॥

তিন চাকার ভ্যান এখন ইঞ্জিন চালিত দ্রুত গতীর যান। এখন কোন চালকেরই পায়ে চালিত ভ্যান নেই বললেই চলে। যদিও থাকে তা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। কালের আবর্তে পা দিয়ে চালানো ভ্যান থেকে আজ ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে রুপান্তুরিত হয়েছে। পুরানো দিনকে পিছনে ফেলে দেশ আজ উন্নত রোল মডেলে এক ধাপ এগিয়ে আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে এই ভ্যানের উপর তাইতো পায়ে চালিত ভ্যান আজ ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে পরিনত হয়েছে।

যুগ যুগ ধরে গরীব অসহায় সাধরণ মানুষ পা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে নিজেদের পরিবার পরিজন ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিন কাটিয়েছেন। কিন্তু আজ ভ্যান চালানোতে কষ্ট নেই, কষ্ট কি তা বোঝেনা ভ্যান চালকেরা। বরং কম পরিশ্রমে বেশি টাকা রোজগার করে সুখে শান্তিতে দিন পার করছেন ভ্যান চালকেরা। ভ্যান ইঞ্জিন চালিত হওয়ায় তা অবশ্যই দ্রুতগতীর তা বলার অবকাশ রাখে না। মুহুর্তের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভাড়া নিয়ে ছুটছেন তারা।

কম পরিশ্রম বেশি রোজগার বলেই ধীরে ধীরে দেশের সব ভ্যান শ্রমিকরা তাদের পায়ে চালিত ভ্যান গাড়িকে বিক্রি করতে করতে আজ পায়ে চালিত ভ্যান গাড়িটি হারিয়ে গেল প্রকৃতির খেয়াল থেকে। প্রথম অবস্থায় ইঞ্জিন চালিত ভ্যান গাড়ি চালাতে চালকদের একটু হিমশিম খেতে হতো কিন্তু আজ পাঁচ বছরের ছোট্র ছেলেটিও দ্রুত গতীর এই ইঞ্জিন ভ্যানটিকে হারহামেশাই হাইওয়ে সড়কের মতো ব্যস্ত সড়কে চালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই ইঞ্জিন ভ্যানের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছে।

এই ইঞ্জিন ভ্যানের আগমনী থেকে আজ পর্যন্ত তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। দ্রুত গতীর এই যান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, চালকের আসনে শিশু, প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘনায় কবলিত হওয়া, যানজট সৃষ্টি করা, নিয়ম না মেনে চালানো ইত্যাদি দোষত্রুটিই তার নিত্য সঙ্গি। প্রতিদিনই সড়কে যে সব দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে তার অধিকাংশই ছোট যানবাহনই দায়ী বলে মানতে হয় এবং তার প্রায়ই ইঞ্জিন চালিত ভ্যানগাড়ীই আলোচনাই আসে। যুগের পরিবর্তন ঘটেছে, দিন বদলের হাওয়া লেগেছে, পায়ে চালিত ভ্যান হয়েছে ইঞ্জিন চালিত কিন্তু এটাও মনে করতে হবে ইঞ্জিন ভ্যানে যতটা উপকার হয়েছে ঠিক তার থেকেও বেশি ক্ষতিও বহন করে এনেছে যা আমরা কিঞ্চত হলেও বুঝতে পারি।

মানুষ আজ আরামপ্রিয়। একটু আরাম এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর জন্যে মানুষ তাদের নিজেদের বাইসাইকেলটাকেও ইঞ্জিন লাগিয়ে দ্রুত গতীতে চলে যাচ্ছে। তবে সব সময়ই সতর্কতা সবারই প্রয়োজন। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। একটু সচেতনতা, একটু সতর্কতায় বাঁচতে পারে আপনার আমার-আমাদের সবার জীবন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment