মোঃ অহেদুল ও সোলায়মান সুমন (কেরানীগঞ্জ):
বর্তমান ঢাকা শহরের নিকটবর্তী উপশহর হল কেরানীগঞ্জ। ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।আর এই সেতুর আটলেনের মূলসড়কটি কেরানীগঞ্জের ভিতর দিয়ে ঢাকায় সংযুক্ত ।সেই প্রেক্ষিতে আজ কেরানীগঞ্জের প্রতি দেশি বিদেশি মিডিয়া, বিভিন্ন পর্যায়ের সংস্থার নজর পড়েছে।বের হয়ে আসছে রোল মডেল কেরানীগঞ্জের এক লুকায়িত রুপ যা আজ মানুষের নজর কাড়ছে স্বপ্নের মত।মনে হচ্ছে এ মেগাসিটি কেরানীগঞ্জে যেন কেউ জাদু করে বদলে দিল। তাই তো পেপার পত্রিকায় বারবার লেখা হচ্ছে বলা হচ্ছে বদলে যাচ্ছে কেরানীগঞ্জ,মেগাসিটিতে রুপ নিচ্ছে কেরানীগঞ্জ।কিন্তু কথায় আছে রোম একদিনে তৈরি হয়নি।আসলে পানকৌড়ি পাখি পানির গভীরে কি পরিশ্রমটা যে করে সেটা পানির উপর থেকে যেমন কেউ তা টের পায় না ঠিক তেমনি সেই রকম পর্দার আড়ালে থেকে যে মানুষটি কেরানীগঞ্জকে দীর্ঘ দিন ডিজিটাল রূপ দিচ্ছেন অত্র অঞ্চলকে বিশ্বের নামিদামি একটা শহরের মত শহর বানাতে চাচ্ছেন, বারবার পরিকল্পনা করেছেন , বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছেন তিনি কেরানীগঞ্জ মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা উন্নয়নের ফেরিওয়ালা খ্যাত, কেরানীগঞ্জের রূপকার ,কেরানীগঞ্জের কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ বিপু। গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যেন লেখা- পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য তিনি নিজ খরচে নসরুল হামিদ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের প্রতিটি বিদ্যালয়ের গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করেন।এজন্য অনেক গরীব ছাত্র-ছাত্রী প্রতিষ্ঠিত হবার সুযোগ পেয়েছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক দের মধ্যে এ উদ্যোগ টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্ট করেছে। শুধু তাই নয় দেশের যুবসমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষার জন্য তিনি নিজ খরচে নসরুল হামিদ স্পোর্টস একাডেমী গঠন করে তাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতা মূলক টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করেন। মেয়েদের জন্যেও চালু করেন হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট।তিনি বলেন খেলাধুলা করলে স্বাস্থ্য ও লেখা পড়া ভালো হয় এবং মাদকের ভয়াবহ ছোবলে থেকে যুবসমাজ রক্ষা পাবে। কেরানীগঞ্জে থেকে দক্ষ খেলোয়াড় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি বিকেএসপির মত প্রতিষ্ঠান কেরানীগঞ্জে হবে বলে আশ্বাস দেন। সাধারণ মানুষের জন্য চালু করেছেন’ আমাদের কথা’ নামের একটি অনুষ্ঠান। যেখানে তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর কাছে থেকে তাদের মুখে বিভিন্ন সমস্যা ও মতামত নিজ মুখে শুনেন ও সমাধান করেন।এ রকম জনগণের মতামত প্রকাশের সুন্দর অনুষ্ঠান দেশে বিরল। বর্তমানে কেরানীগঞ্জে কমেছে বাল্যবিবাহ কমেছে চুরি,ডাকাতি চাঁদাবাজি,কমেছে ইভটিজিং,কমেছে অবাধ ভূমি দখল। দখলমুক্ত হয়েছে শুভাঢ্যা খাল সহ সাতটি খাল । সিংহ নদীর উদ্ধারের কাজ শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন অবৈধভাবে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হলে আজ হোক কাল হোক তাকে বাড়ি ভাঙতেই হবে কোন ছাড় নেই। অপরাধী নিজ দলের হলেও কোন ছাড় নেই। কেরানীগঞ্জে হয়েছে শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।,স্কুল কলেজের জন্য ৪০ টির ও বেশি নতুন ভবন, অসংখ্য কালভার্ট, মসজিদ, রাস্তা, মন্দির সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নসরুল হামিদ বিপু ঢাকা ৩ আসনের সকল মানুষের নজর কাড়তে পেড়েছেন এবং সাধারণ মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হাজী মোঃ রনি বলেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাবা অধ্যাপক হামিদুর রহমানের চেষ্টা ও অনুদানে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাঁশের ছাউনি দিয়ে চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর নির্মিত হয়।তখন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার। প্রতিমন্ত্রীর আপ্রাণ চেষ্টায় ছয়তলা ভবনসহ বিদ্যালয়টির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি কলেজে রুপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া শেষের পথে। হাজী মোঃ রনি আরও বলেন এলাকাবাসী নসরুল হামিদ বিপু কে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মিরাজুর রহমান সুমন বলেন ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ বিপুর কোন বিকল্প নেই। কেরানীগঞ্জের প্রতিটি উন্নয়ন তার হাতের ছোঁয়ায় হয়েছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মুসলিম সরকার আগামীর সময় কে বলেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর আমাদের কেরানীগঞ্জের যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এতে তিনি যে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। বিশেষ করে কেরানীগঞ্জে কন্টেইনার পোর্ট নির্মাণ,তিন হাজার একর জায়গায় শেখ হাসিনা স্মার্ট সিটি, কয়েক হাজার জায়গায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস , বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, মাটির নিচে বিদ্যুৎ তার স্থাপন, বিদ্যালয়ে মিড ডে চালু স্টেডিয়ামে নির্মাণ, বিনোদন পার্ক, পদ্মা সেতু আট লাইন কেরানীগঞ্জে মধ্যে হওয়া বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প সব মিলিয়ে কেরানীগঞ্জ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হতে যাচ্ছে যার মহানায়িক বিদ্যুৎ উন্নয়নের ফেরিওয়ালা ও কেরানীগঞ্জ এর রূপকার নসরুল হামিদ বিপু। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য কেরানীগঞ্জে নসরুল হামিদ বিপুর মত একজন জনপ্রিয় দক্ষ নেতাকেই আবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই কেরানীগঞ্জ বাসী।
