ভারতের সাতটি প্রকল্পের জন্য ২৮৩ কোটি ডলার ঋণ–সহায়তা দিচ্ছে জাপান

ভারতের সাতটি প্রকল্পের জন্য ২৮৩ কোটি ডলার ঋণ–সহায়তা দিচ্ছে জাপান

জাপান সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে অতি সম্প্রতি চীনের সঙ্গে জাপানের বৈরী সম্পর্ক নতুন পথে বাঁক নিতে শুরু করায়, বিশেষ করে নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে গতানুগতিক আলোচনার বাইরে খুব বেশি প্রত্যয়ী বক্তব্য জাপানের পক্ষ থেকে উচ্চারিত হয়নি। পরে দুই নেতার উপস্থিতিতে ঋণ–সহায়তা প্রদানসংক্রান্ত বিনিময়পত্র স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় ভারতের সাতটি প্রকল্পের জন্য মোট ২৮৩ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দিচ্ছে জাপান।

বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাপান ও ভারতের উন্নত সম্পর্ক সমগ্র বিশ্বের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে এবং শক্তিশালী জাপান যেমন ভারতের জন্য সুবিধা এনে দেবে, একইভাবে শক্তিশালী ভারতও জাপানের জন্য উপকারী বিবেচিত হবে। উত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মনে করেন, ভারত ও জাপানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে না উঠলে এশিয়ার উন্নতি কখনো সম্ভব হবে না।

শীর্ষ বৈঠকের পর প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সম্প্রসারণ করে নিতে সম্মত হয়েছেন। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে জাপানের মতোই ভারতের উদ্বেগ থেকে গেলেও যৌথ বিবৃতি কিংবা সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে দুই নেতা ভারতের প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ ছাড়াও কেনিয়ার মতো ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের’ উন্নয়নশীল দেশে জাপান ও ভারতের যৌথভাবে অবকাঠামো প্রকল্পে অংশ নেওয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন।

শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাপান ও ভারতের কর্মকর্তারা ভারতের সাতটি অবকাঠামো প্রকল্পে জাপানের ঋণ–সহায়তা প্রদানসংক্রান্ত একটি বিনিময়পত্র স্বাক্ষর করেন। দুই দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত মতৈক্য অনুযায়ী মুম্বাই ও আহমেদাবাদের মধ্যে দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য ঋণ প্রদানসহ আরও ছয়টি প্রকল্পের জন্য মোট ২৮৩ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ স্বল্প সুদের ঋণ ভারতকে দেবে জাপান। এ ছাড়া দ্রুতগতির রেলের জন্য জাপানের শিনকানসেন বুলেট ট্রেন প্রযুক্তি সরবরাহ করতেও জাপান সম্মত হয়েছে। রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ হলে মুম্বাই ও আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার পথ এখনকার সাত ঘণ্টার জায়গায় মাত্র দুই ঘণ্টায় পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment