শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ; উদ্ধার হয়নি সেই পুলিশ সদস্যের পোশাক

বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুর বাড়তি টোল আদায় নিয়ে গত শুক্রবার সকালে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এবাদত নামের এক কনস্টেবলকে আটক করে তার পরিহিত পোশাক খুলে নেয় এবং তার গলায় ছুরি ধরে হত্যার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় এবাদতের সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ কনস্টেবলকে জাঙ্গিয়া পরিহিত দেখে তখন বিআরটিএর একজন আনসার সদস্য তাদের ক্যাম্প থেকে একটি লুঙ্গি এনে পড়িয়ে দেন। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো এবাদতের সেই পোশাক উদ্ধার করতে পারেনি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুর বাড়তি টোল আদায় নিয়ে গত শুক্রবার সকালে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ সেখানে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা হট্রগোল করতে থাকলে কনস্টেবল এবাদতসহ আরো কয়েক জন সেখানে গিয়ে তাদের উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আন্দোলন করার পরামর্শ দেন। এ বলার সাথে সাথে আন্দোলনকারীরা এবাদতকে ঘিরে ফেলে মারধর শুরু করে এবং তার গা থেকে পরিহিত পোশাক খুলে নেয়।

এবাদত এ সময় মারধর খেয়েও তার হাতে থাকা সরকারি অস্ত্র ছাড়েননি। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা জবাই করার জন্য এবাদতের গলায় ধারালো ছুরি ধরেন। এ সময় এবাদতের ডাকচিৎকারে আশাপাশের অফিসার-ফোর্স এসে জাঙ্গিয়া ও সেন্টু গেঞ্জি পড়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। তখন বিআরটিএর ডিউটিরত কোনো এক আনসার সদস্য একটি লুঙ্গি এনে এবাদতকে পড়িয়ে দেন। আন্দোলনকারীরা লুট করে নেওয়া এবাদতের পোশাক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজামান জানান, সংঘর্ষের সময় আন্দোলনকারীরা এবাদত নামের এককনস্টেবল এর পোশাক খুলে নেয়। এ ঘটনার পর থেকে আমরা পোশাক উদ্ধারের চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু সারা বাংলাদেশে শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে আন্দোলন করছে সেহেতু নতুন করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে দিকে খেয়াল রেখে আমরা গোপনে উদ্ধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

অপরদিকে নিহত সোহেল এর শ্বশুর মো. মোশারফ হোসেন এর মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, শ্রমিক আন্দোলনের কারনে গাড়ি বন্ধ থাকায় আমরা ঢাকায় আসতে দেরী হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment