নওগাঁ-৬ আসনে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন

নওগাঁ-৬ আসনে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ

আর কিছুদিন বাদেই নির্বাচন। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। দলীয় থেকে প্রাপ্ত চুড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীরা উৎসমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সশরীরে উপস্থিত থেকে আনন্দের সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে দল থেকে যারা মনোনয়ন পাননি তাদের মধ্যে অনেকে স্বতন্ত্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিস সূতে জানা গেছে, ছয়টি আসনে মোট ৪৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে- আ’লীগ সাত জন, বিএনপি ১৫ জন, জাপা পাঁচজন, জেপি একজন, এলডিপি একজন, বিকল্পধারা একজন, বিএনএফ একজন, জাকেরপাটি একজন, জাসদ একজন, ইসলামী আন্দোনল বাংলাদেশ ছয়জন, বাসদ দুইজন, সিপিবি একজন এবং স্বতন্ত্র ছয়জন। জানা গেছে, নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে ইসরাফিল আলমকে মনোনীত করা হয়েছে। এ আসন থেকে আরো যারা মনোনয়নের জন্য দৌড়াঝাঁপ করেছিলেন তারাও এখন ভেঙে পড়েছেন। তবে ইসরাফিল আলমের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রানীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল। এ আসনে এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রানীনগর উপজেলার যুবলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা গোলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আতোয়ার রহমান, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন আকন্দ। স্বতন্ত্রী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। এখানে আ’লীগ বলতে আমাদের ভূমিকাই মূর্খ্য। সারা জীবন ছিলাম এবং আছি। ২০০৮ সালে আমরা যারা ইসরাফিল আলমকে এমপি করেছিলাম তাদের মধ্যে ৯৮ শতাংক মানুষই আর তাকে ভোট দিবে না। তার কার্যকলাপরে রানীনগর-আত্রাইয়ের মানুষরা ক্ষিপ্ত। দখলবাজী, টেন্ডারবাজী, লুটপাট এবং মানুষ খুনসহ এলাকাবাসী এখন তার কাছে জিম্মী হয়ে আছে। এসব কারণে জনগণ তাকে আর চাই না। তিনি আরো বলেন, এ আসন থেকে আমরা যে কয়জন প্রার্থী ছিলাম তাদের দাবী ছিল ইসরাফিল ছাড়া অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দিলে আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করব। জন জরীপ ও আমলনামার ভিত্তীতে মনোনয়ন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার উল্টো হয়ে গেল। আমার মনে হয় যারা তালিকা তৈরী করেছেন কোথাও কিছু একটা ভুল হয়েছে। যার কারণে সে মনোনয়ন পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সে যদি শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক পাই, তাহলে এ আসন থেকে ১৫ হাজার ভোটই পাবেন না। আর যদি নৌকা প্রতীকে সে প্রার্থী থাকে তাহলে আমি স্বতন্ত্র থেকে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী। রানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ার হোসেন হেলাল দীর্ঘদিন থেকে আ’লীগ থেকে বহিস্কার। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করব এবং বিজয়ী করব। নৌকার বাহিরে আমরা কাউকে মূল্যায়ন করব না।#

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment