নারায়ণগঞ্জে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে শিক্ষক, নারীসহ ১৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর রুকনসহ ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা রয়েছেন।
শুক্রবার সদর ও ফতুল্লা মডেল থানা এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের দাবি, আটকরা নাশকতার পরিকল্পনা করতে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে ১৮টি ককটেলসহ বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ফতুল্লার পাগলা হাই স্কুল থেকে জামায়াতের রুকন ইয়াছিন মাস্টারসহ ৪৯ জন এবং নগরের মাসদাইর ইসলামিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে পাঁচ নারীসহ ৫৪ জনকে আটক করা হয়। একই সময় সদর থানার আমলাপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৯ জনকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আশুতোষ ভট্টাচার্য্যসহ আরও সাত শিক্ষিকা রয়েছেন। এ ছাড়া বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা (ডিআইও)-২ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টশিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্য ছিল আটকদের। এ জন্য তারা কৌশল হিসেবে ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত ‘জিনিয়াস কোচিং’ সেন্টারের আয়োজনে বৃত্তি পরীক্ষার নামে সেখানে সমবেত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের আটক করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, ফতুল্লার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ১০৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়া যাবে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আট শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক বাকিরা নিজেদের শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ছুটির দিনে স্কুলে শিক্ষকরা কেন সমবেত হয়েছিলেন, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বন্দরে ৩০ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আজহারুল ইসলাম।