কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজার পর তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এরপর সেখানে তাকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
সাইদুল আনাম টুটুলকে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, নৃত্য পরিচালক আমানুল হক, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। এছাড়া জাতীয় কবিতা পরিষদ, চলচ্চিত্র টেলিভিশন ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।এ সময় অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাইদুল আনাম টুটুল একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এছাড়া তিনি অভিনয় করেছেন। কাজ করতে করতে তিনি চলে গেলেন। কাজটা শেষ করে নিজে দেখে যেতে পারলেন না। তার কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন।’
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এ সময়ে এসে টুটুল ভাইয়ের মতো একজন দক্ষ নির্মাতার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য সত্যি বেদনাদায়ক। তাঁর সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। অনেক কিছু শিখেছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ। একজন মানুষ হিসেবে তিনি কতটা উঁচু মানের ছিলেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। তার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য অপূরণীয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জানি চলচ্চিত্রে টুটুলের যে ভূমিকা তা প্রচ্ছন্ন ছিল। কারণ তিনি যে কাজ করতেন তা হলো সম্পাদনার কাজ। তার চলে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
প্রসঙ্গত, সাইদুল আনাম টুটুল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সরকারি অনুদানে তিনি ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্রের সম্পাদনা করেন, যা শেষ হওয়ার একদিন আগেই তার মৃত্যু হয়।
শহীদ মিনারে সাইদুল আনাম টুটুলকে শেষ শ্রদ্ধা
