আলামত ‘খেলনা পিস্তল’ ও ‘বোমা সদৃশ বস্তু’

আলামত ‘খেলনা পিস্তল’ ও ‘বোমা সদৃশ বস্তু’

বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় আলামত হিসেবে একটি ‘খেলনা পিস্তল’ ও ‘বোমসদৃশ বস্তু’ সংগ্রহ করেছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-৭ ও প্যারা কমান্ডোদের কাছ থেকে আলামতগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে আলামতগুলো পেতে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

আলামত হিসেবে কি কি হাতে পেয়েছেন জানতে চাইলে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ তা জানাতে রাজি হননি।

তবে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর যেসব আলামত উদ্ধার হয়েছিল সেগুলো আমরা পেয়েছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় আলামত হিসেবে একটি খেলনা পিস্তল ও বোমাসদৃশ কিছু বস্তু পুলিশের হাতে এসেছে।’

এর আগে গত সোমবার রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘বিমানে থাকা এক তরুণ বোমাসদৃশ বস্তু ও অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন।’

গত রোববার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৭ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই এক যুবক ‘অস্ত্র ঠেকিয়ে’ জিম্মি করেন ক্রুদের। ওই অবস্থায় বিমানের পাইলট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমানটি অবতরণ করান।

যাত্রী ও ক্রুদের নামিয়ে আনার পর কমান্ডো অভিযানে মারা পড়েন ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক। পরে তার নাম পলাশ এবং বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও বলে জানা যায়। পুলিশকে লাশটি বুঝিয়ে দেয়ার পর লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment