পরিবর্তন হচ্ছে ঋণের সুদ পদ্ধতি, সুবিধা পাবে ব্যবসায়ীরা

২. ঋণ সংরক্ষণ পদ্ধতি সহজ করা হচ্ছে। মূল ঋণের সাথে সুদ ও সার্ভিস চার্জ একত্র করে কিস্তি নির্ধারণ করা যাবে না। ঋণ, সুদ ও সার্ভিস চার্জ আলাদা করে ধার্য করতে হবে। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে।

৩. খেলাপি ঋণ হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যাংকগুলোর চক্রবৃদ্ধি সুদ। এ কারণে যারা খেলাপি ঋণের আওতায় পড়েছেন, তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত আপনাদের? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, তাদের মাফ করে দেয়া হবে। সেগুলো আমরা কমিয়ে দেব। আগামী বাজেটের আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৪. জানা গেছে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় মূল ঋণের সাথে সুদ ও সার্ভিস চার্জ একত্রে করে মেয়াদ অনুযায়ী ঋণের কিস্তি নির্ধারণ করা হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর সার্ভিস চার্জ মূল ঋণের সাথে যুক্ত হয়। এতে কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধ না করলে ওই ঋণ সুদে আসলে চক্র বৃদ্ধি আকারে বেড়ে যেত।

৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার জন্য ও খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে ঋণখেলাপিসহ ঋণনির্ভর শিল্প উদ্যোক্তাদের। এর মধ্যে কোনো মূল ঋণের সাথে অর্জিত সুদ ও সার্ভিস চার্জ যুক্ত করা যাবে না। আলাদা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। পরিশোধের ক্ষেত্রে তিন অংশ থেকেই পরিশোধ করতে হবে। তবে কোনো গ্রাহক ঋণখেলাপি হলে সুদের ওপর সুদ ধার্য হবে না। অর্থাৎ মূল ঋণ যে টুকু অবশিষ্ট থাকবে কেবল ওই পরিমাণ ঋণের ওপরই সুদ ধার্য হবে।

৬. ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলো পকেটের টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করে না। সাধারণ আমানতকারীর অর্থে বিনিয়োগ করা হয়। সাধারণত তুলনামূলক কম মুনাফায় আমানত সংগ্রহ করে বেশি মুনাফায় বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ ও আমানতের সুদ হারের যে পার্থক্য সেটাই ব্যাংকের মুনাফা হিসেবে ধরা হয়। এ মুনাফা দিয়ে ব্যাংকগুলো তাদের পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে প্রকৃত আয় থেকে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। এখন ১০০ টাকা আমানত নিয়ে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদে আসলে আমানতকারীকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু আমানতকারীর অর্থ যখন ঋণ আকারে দেয়া হয়, আর ওই অর্থ যখন খেলাপি হয়ে যায় তাহলে ব্যাংকগুলোর দায় বেড়ে যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment