গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মাথার চুল কেটে বর্বর নির্যাতন

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মাথার চুল কেটে বর্বর নির্যাতন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ময়না খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে পারিবারিক বিরোধের জেরে গাছের সাথে বেঁধে উলঙ্গ করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে শুশুর বাড়ির লোকজন।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে এলাকার মানুষ চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪ মার্চ রোববার উপজেলার গোলাপ নগর বাজার এলাকায় ময়না খাতুন নির্যাতনের শিকার হন। এদিন বিকালে ময়নার স্বামীর আগের পক্ষের স্ত্রী ও শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামীর চাচাতো ভাই ও চাচাতো দুলাভাই তাকে বাড়ির পাশের একটি গাছে সাথে বেঁধে উলঙ্গ করে চুল কেটে দেয়। এরপর চলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন। প্রথমে ময়না শ্বশুর বাড়ির লোকের ভয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেনি। তার চিৎকারে পথ দিয়ে চলতে থাকা মানুষেরা এগিয়ে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার লোমহর্ষক বিবরণ দেয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনায়।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছে।

নির্যাতিতা নারী জানান, আমার সাথে ঘটে যাওয়া অমানুষিক নির্যাতনের আমি বিচার চাই। এমন নির্যাতনের শিকার যেনো আর কোনো নারী না হয়।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হওয়া ময়না খাতুনের ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

কুষ্টিয়ার মানবাধিকার কর্মী সৈয়দা হাবিবা এ ঘটনাকে সভ্য সমাজের কলঙ্ক বলে দাবি করে জানান, এমন নির্মম নারী নির্যাতনের ঘটনা সবাইকে নেড়ে দিয়েছে। এমন ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, ময়না খাতুন যখন হাসপাতালে আসেন তখন তার চুল কাটা অবস্থা ও শরীরে কিছুকিছু স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে এখন চিকিৎসাধীন আছে এবং অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম বলেন,পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment