ডাকসুতে জনবল নিয়োগ, কিছুই জানেন না ভিপি নুর

ডাকসুতে জনবল নিয়োগ, কিছুই জানেন না ভিপি নুর

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) নতুন ভিপি নুরুল হক নুরকে না জানিয়ে স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া করছে জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ডাকসুতে জনবল নিয়োগের বিষয়ে ভিপিকে না জানিয়ে কেন এই প্রক্রিয়া? যাতে নির্বাচিত ভিপি নুরের স্বাক্ষর নেই। এর আগে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জুনিয়র সকল কোর্সের আবেদন ফি কমানোর দাবিতে করা আবেদনেও নুরকে জানাননি জিএস ও এজিএস।

এ বিষয়ে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, তার স্বাক্ষর ছাড়াই এ ধরণের চিঠি, ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক বিষয় চেয়ে প্রশাসন বরাবর একাধিক চিঠি দিয়েছে তারা। কিন্তু আমি নির্বাচিত ভিপি হলেও এ বিষয়ে কিছু জানি না।

ভিপি নুর এর আগে তার ফেসবুকে লিখেন, ডাকসুতে বিভিন্ন পদে ৪জন লোক কর্মরত আছেন। আমার জিএস, এজিএস সাহেব আর ও ৯ জনের চাহিদাপত্র দিয়েছে। অথচ জানলাম না আমি। অবশ্য এইসব বিষয়ে বাম হাত/ডানহাত থাকে তো, চুপেচাপে করাই ভালো! কারণ অনিয়ম হলে বাধাঁটা এই ভিপিই দিবে। সুতরাং হামলা-টামলা, নাটক-ফাটক, ফন্দি-ফিকির করে ভিপিকে সরানো জরুরী হয়ে পড়বে!

এদিকে চাইলে এজিএস সাদ্দাম হোসেন নুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে ভিপি অবগত আছেন। এর আগে ডাকসুর কর্মকর্তা স্বাক্ষর করার জন্য চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে আমরা স্বাক্ষর করেছি এবং আরেকটি পৃষ্ঠায় ডাকসু ভিপির স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তিনি পুরো বিষয়টি না দিয়ে শুধু একটি অংশ সংযোজন করেছেন।

বিভিন্ন পদে নয়জনের নিয়োগের ওই আবেদনপত্রে গত ৩১ মার্চ স্বাক্ষর করেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. সাদ্দাম হোসেন।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর ৯ মাস পর গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ২৩ মার্চ নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে আবার সচল হয় ডাকসু।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment