ভূমিকম্প মুমিনের জন্য যে সতর্কবার্তা নিয়ে আসে

ভূমিকম্প মুমিনের জন্য যে সতর্কবার্তা নিয়ে আসে

কোরআন ও সুন্নাহর বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ভূমিকম্পের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সতর্ক করেন। মানুষকে তার পাপ শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেন। মানুষ যেন চিরতরে অন্যায় ও পাপ কাজ বর্জন করে সেই সতর্কবার্তা হিসেবে ভূমিকম্প ঘটিয়ে থাকেন আল্লাহ তায়ালা। ভূমিকম্পের ভয়াবহ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়ার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় এর মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘এখনো কি এই জনপদের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আমার আজাব তাদের ওপর রাতের বেলায় এসে পড়বে অথচ তখন তারা থাকবে ঘুমে অচেতন।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত, ৯৭)। আরও বর্ণিত হয়েছে,…

বিস্তারিত

ফজর নামাজ পড়া সহজ হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়া সহজ হবে যেভাবে

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করে তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করার অনেকগুলো মাধ্যম দিয়েছেন। এসবের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ঘুম। ঘুম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য অনন্য এক নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তিনিই নিজ রহমতে তোমাদের জন্য রাত-দিন বানিয়েছেন, যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম নিতে পার ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার।’ (সূরা কাসাস, আয়াত, ৭৩)। অপর এক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের ঘুমকে ক্লান্তি ঘুচানোর উপায় বানিয়েছি এবং রাতকে বানিয়েছি আবরণস্বরূপ।’ (সূরা নাবা, আয়াত, ৯-১০)। এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তায়ালা মানুষের সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি ও বিষণ্ণতা দূর…

বিস্তারিত

উপকারীর উপকার স্বীকার করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য

উপকারীর উপকার স্বীকার করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য

উপকৃত হয়ে উপকার স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মুমিন ব্যক্তির অন্যতম একটি গুণ। উপকৃত হয়ে তার উপকারের প্রশংসা করে মনে কষ্ট না দিয়ে সহযোগিতা করাই হলো কৃতজ্ঞতা। সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডাক্তার, উকিল, শিক্ষক, ইমাম, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, দোকানদার, ড্রাইভার, কৃষক, শ্রমিকসহ সামাজিক এ জীবনে বেঁচে থাকতে অন্যের দ্বারা সবাই উপকার গ্রহণ করি। যে ব্যক্তির দ্বারা উপকৃত হলাম তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা মুমিন হিসেবে দায়িত্ব। বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও…

বিস্তারিত

জান্নাতের ৮ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন যারা

জান্নাতের ৮ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন যারা

মুত্তাকীদের জন্য পরকালে নির্ধারিত রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাত। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয় মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা। প্রাচীর বেষ্টিত বাগান ও আঙ্গুর, আর সমবয়স্কা উদ্‌ভিন্ন যৌবনা তরুণী, এবং পরিপূর্ণ পানপাত্ৰ, সেখানে তারা শুনবে না অসার অর্থহীন আর মিথ্যে কথা।’ (সূরা নাবা, (৭৮), আয়াত, ৩০-৩৫) জান্নাতের আটটি দরজা আছে, প্রত্যেক মুমিন নিজ নিজ, আমল অনুযায়ী সেই দরজাগুলো দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এই আটটি দরজার নাম কোথাও একসঙ্গে পাওয়া না গেলেও কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় এই দরজাগুলোর নাম পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কেউ…

বিস্তারিত

ইবাদতের স্বাদ নষ্ট হয় যে কারণে

ইবাদতের স্বাদ নষ্ট হয় যে কারণে

দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে অন্তরের যোগসূত্র রয়েছে। কোনো কিছু চোখে দেখার পরই অন্তরে ভাবনা তৈরি হয়, দেখা জিনিসের চিত্র অঙ্কিত হয়। ভালো কিছু দেখলে মানুষের মন ভালো থাকে, বিপরীত কিছু দেখলে মন খারাপ হয়। মানুষের উচিত ভালো ও স্বস্তিদায়ক জিনিসের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া। দৃষ্টিশক্তির অপবব্যহার না করা উচিত। কারণ, এতে দুনিয়া-আখেরাত দুই জীবনেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। ইসলামে দৃষ্টিপাতের সীমারেখা কোনো কিছু দেখার ক্ষেত্রে ভালো-মন্দের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি, নিদর্শন ও নেয়ামত দেখে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এতে করে সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।…

বিস্তারিত

সুন্দর ব্যবহার ও আচরণের বিনিময়ে জান্নাত!

সুন্দর ব্যবহার ও আচরণের বিনিময়ে জান্নাত!

মানুষের একটি ভালো কথা যেমন একজনের মন জয় করে নিতে পারে, তেমনি একটু খারাপ বা অশোভন আচরণ মানুষের মনে কষ্ট আসে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিত সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা। সুন্দর ব্যবহার ও আচার-আচরণ বলতে আমরা বুঝি কারো সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা, দেখা হলে সালাম দেওয়া, কুশলাদি জিজ্ঞেস করা, কর্কশ ভাষায় কথা না বলা, ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত না হওয়া, ধমক বা রাগের সুরে কথা না বলা, পরনিন্দা না করা, অপমান-অপদস্থ না করা, উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা, গম্ভীর মুখে কথা না বলা, সর্বদা হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের…

বিস্তারিত

যে কারণে জুমার আজানের পর বেচা-কেনা নিষেধ

যে কারণে জুমার আজানের পর বেচা-কেনা নিষেধ

জুমার দিন তাড়াতাড়ি এবং সবার আগে মসজিদে যাওয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন যে যত তাড়াতাড়ি মসজিদে আসবে সে তত বেশি সওয়াব পাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা…

বিস্তারিত

খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ আদায় হবে?

খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ আদায় হবে?

মুসলমানদের কাছে জুমার দিন অপরিসীম ফজিলতের। আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সুরা নাজিল করা হয়েছে। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের…

বিস্তারিত

আজ পবিত্র আশুরা

আজ পবিত্র আশুরা

আজ শনিবার ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালন করা হবে। কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন। পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ…

বিস্তারিত

যেভাবে করবেন ভালো খাবারের প্রশংসা

যেভাবে করবেন ভালো খাবারের প্রশংসা

জীবন ধারণের জন্য খাবার অপরিহার্য। খাবার-দাবার ঠিক না থাকলে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায়, দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এবং কোন কাজে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে না। তাই পানাহার মানুষের জন্য জরুরি বিষয়। তবে খাবার অবশ্যই হালাল হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমার দেয়া পবিত্র বস্তুগুলো খেতে থাক এবং আল্লাহর উদ্দেশে শোকর করতে থাক, যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক। -(সূরা বাকারাহ, (২) আয়াত, ১৭২) হালাল খাবার আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল জিনিস থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয়…

বিস্তারিত