যেভাবে করবেন ভালো খাবারের প্রশংসা

যেভাবে করবেন ভালো খাবারের প্রশংসা

জীবন ধারণের জন্য খাবার অপরিহার্য। খাবার-দাবার ঠিক না থাকলে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায়, দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এবং কোন কাজে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে না। তাই পানাহার মানুষের জন্য জরুরি বিষয়। তবে খাবার অবশ্যই হালাল হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমার দেয়া পবিত্র বস্তুগুলো খেতে থাক এবং আল্লাহর উদ্দেশে শোকর করতে থাক, যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক। -(সূরা বাকারাহ, (২) আয়াত, ১৭২) হালাল খাবার আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল জিনিস থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয়…

বিস্তারিত

জুমার নামাজ কাজা হলে মুসাফির জোহর কত রাকাত পড়বে?

জুমার নামাজ কাজা হলে মুসাফির জোহর কত রাকাত পড়বে?

কেউ তিনদিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। আর সফরে গেলে কসর নামাজ পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)। মুসাফির ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ ফরজ না। তবে তাকে জোহরের কসর করতে হবে। অর্থাৎ জোহরের চার রাকাতের পরিবর্তে দুই রাকাত পড়তে হবে। তবে মুসাফিরের জন্য জুমার নামাজ আবশ্যক নয়। তবে যদি সফরের ক্লান্তি, যানবাহনের সমস্যা বা এজাতীয় কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে…

বিস্তারিত

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ তাকওয়া সমৃদ্ধ ইবাদত। এটি আল্লাহ তাআলার নামে পশু জবেহ করার মাধ্যমে আদায় করতে হয়। অনেকেই কুরবানির পশু জবেহ করার নিয়ম ও দোয়া জানেন না। হাদিসে এ সম্পর্কে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। কুরবানি পশু জবেহ করার জন্য রয়েছে দিকনির্দেশনা। পশু জবেহ করার সময় দোয়া পড়তে হয়। পশু জবেহ করার পরও রয়েছে দোয়া। কুরবানির পশু জবেহের নিয়ত ও দোয়া তুলে ধরা হলো- হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিজের কুরবানির পশু তাঁর নিজ হাতে জবাই করেছেন।‘ এ ছাড়াও বিভিন্ন হাদিস থেকে যার যার…

বিস্তারিত

কোরবানির পশু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা

কোরবানির পশু নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা

কোরবানি ইসলামের অন্যতম একটি শিআর বা নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে—‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে নামাজ আদায় করো ও পশু কোরবানি করো।’ (সুরা : কাউসার, আয়াত : ২) কোরবানির রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না উহার (জন্তুর) গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩৭) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছে না আসে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ…

বিস্তারিত

খুতবা না শুনে শুধু জুমার নামাজ পড়া যাবে?

খুতবা না শুনে শুধু জুমার নামাজ পড়া যাবে?

জুমার নামাজের জন্য খুতবা শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য শোনা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলাও অনর্থক। (বুখারি, হাদিস নং: ১/১২৮) হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না,…

বিস্তারিত

আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার দু‘আ! দুধরচকী

আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার দু‘আ! দুধরচকী

  রাব্বানা— ইন্নানা— আ-মান্না- ফাগফির্‌ লানা- যুনূবানা- ওয়াক্বিনা- ‘আযা-বান্ নার্ হে আমাদের রব! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি, তাই আমাদের গুণাহ সমূহকে ক্ষমা করুন আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করুন। [আলে‘ইমরান, ৩/১৬] رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ রাব্বানা— আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্‌ হামনা- ওয়াআন্‌তা খায়রুর্ রা-হিমি—ন্ হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি তাই আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি রহমত করুন আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। [আল-মু‘মিনুন, ২৩/১০৯] رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ রাব্বিগফির্ ওয়ারহাম্ ওয়া আনতা খায়রুর রা-হিমি—ন্ হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও রহমত করুন…

বিস্তারিত

যেভাবে তৈরি করবেন কোরআনের প্রতি ভালোবাসা

যেভাবে তৈরি করবেন কোরআনের প্রতি ভালোবাসা

পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কোরআন। কোরআনকে আল্লাহ তাআলা বিশ্ববাসীর জন্য নাজিল করেছেন কোরআন থেকে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করার জন্য। কোরআন পাঠ, কোরআন নিয়ে ভাবনা, কোরআন বোঝার চেষ্টা করা—সবই ইবাদত। এত শ্রেষ্ঠ কিতাবের প্রতি আমাদের অনেকেরই ভালোবাসার কমতি আছে। এ কারণে আমাদের জীবনে কোরআনকে আমরা জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ বানাতে পারিনি। মানুষ যখন কোনো জিনিসকে ভালোবাসে, সেই জিনিসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন সে জিনিস ছাড়া ভালো লাগে না। তেমনি যখন আমাদের ভেতরে কোরআনের ভালোবাসা চলে আসবে তখন কোরআন ছাড়া আমাদের ভালো লাগবে না। বর্তমানে আমাদের অনেকেই কোরআন তিলাওয়াত…

বিস্তারিত

যে কারণে রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি গুরুত্ব দেবেন

যে কারণে রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি গুরুত্ব দেবেন

মানুষকে সরল-সঠিক পথের দিশা দিতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। এই গ্রন্থে সবার জন্য রয়েছে হেদায়েত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এটা (কোদরআন) সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই। এটা মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক।’ (সূরা  আল-বাকারা, আয়াত, ২)। মানুষের হেদায়েতের বাণী কোরআন নাজিল হয়েছে পবিত্র রমজান মাসে। বর্ণিত হয়েছে, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) কোরআন নাজিলের মাসে বেশি বেশি কোরআন…

বিস্তারিত

যে কারণে ফজিলতের তারাবি নামাজ

যে কারণে ফজিলতের তারাবি নামাজ

মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে যে নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ…

বিস্তারিত

শুরু হলো মাহে রমজান

শুরু হলো মাহে রমজান

রমজান হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাসে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের মুসলমানরা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা রাখেন। আর বছর ঘুরে ফিরে এসেছে সেই মাহে রহজান। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের। রমজান মাসের বিশেষ আমলগুলোর মধ্যে রয়েছে- তারাবি নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবির নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও পরকালের আশায় রমজানের রাতে কিয়ামুল লাইল (তারাবি) আদায় করবে, তার অতীতের পাপ মার্জনা করা হবে।’ (নাসায়ি,…

বিস্তারিত