আড়াই মাসের শিশুকে নিয়ে শিক্ষক আন্দোলনে মা

আড়াই মাসের শিশুকে নিয়ে শিক্ষক আন্দোলনে মা

আড়াই মাসের শিশুকে নিয়ে শিক্ষক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন এক মা। জাতীয়করণের দাবিতে গত ১০ দিন ধরে তিনি আমরণ অনশন করে যাচ্ছেন। দাবি আদায় ছাড়া ঘরে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। হবিগঞ্জের জে কে এন এইচ কে হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক সৈয়দা কুমকুম। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। এমপিওভুক্ত হয়েছেন সাড়ে ছয় বছর আগে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দা কুমকুম শিশুটিকে ফিটারে দুধ খাওয়াচ্ছেন, আবার একটু পরপর আন্দোলনে শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। খোলা আকাশের নিচে ধুলা-বালিতে ভরা চারপাশ। পরিবহন ও জনমানুষের শব্দ দূষণের মধ্যেই দিন পার হচ্ছে…

বিস্তারিত

এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল: শিক্ষামন্ত্রী

এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পরও প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেলে সেই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। গত কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এক আলোচিত বিষয়। বেশ কিছু পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন পাওয়া গেলেও পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা তেমন একটি ঘটেনি। তবে এবার এ বিষয়ে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘যখনই কোনো প্রশ্ন ফাঁস হবে, ‘আমরা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করব।’ প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই এটা বরদাশত করব না। তদন্ত…

বিস্তারিত

সেই ছাত্রলীগ নেত্রী শায়লা যা লিখলেন তার ফেসবুকে

সেই ছাত্রলীগ নেত্রী শায়লা যা লিখলেন তার ফেসবুকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করার ঘটনার মধ্যে একজনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ২ দিন ধরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ছবিতে দেখা যায় এক নারী আরেক নারীকে বিবস্ত্র করার দৃশ্য। সেই ছবির মেয়েটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শায়লা শারমিন। শায়লা শারমিন তার নিজ ফেসবুক আইডি (শ্রাবণী শায়লা) থেকে গত ২৪ জানুয়ারি রাতে একটি স্ট্যাস্টাস দেন। সেখানে তিনি লেখেছেন তার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো: আমি শ্রাবণী শায়লা, আর এটাই আমার একমাত্র ফেসবুক…

বিস্তারিত

এবার চবি ও সিলেটে ছাত্রলীগের কালো থাবা

এবার চবি ও সিলেটে ছাত্রলীগের কালো থাবা

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটেও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা আরটিভি অনলাইনকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালানোর পর ক্যাম্পাসে আজকে কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। মিছিল লাইব্রেরি ভবনের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রলীগের কর্মীরা চড়াও হন। এতে জোটের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আছেন ফজলে রাব্বি, সৈয়দ আইরিন সুলতানা, সায়মা আকতার নিশু, রিজু এবং মির্জা ফখরুল। ধীষণ…

বিস্তারিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণী শায়লা

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণী শায়লা

ছাত্রলীগের হামলার বিচার, তাদের নামে দায়ের করা ভাংচুর মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে। বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একাডেমিক মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য কক্ষ থেকে বের হলে আন্দোলনকারীরা তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ভিসির পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা। রুমের সামনে করিডোরে আধঘণ্টার বেশি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবিদ আল হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে তার কার্যালয়ের নিয়ে যান। এ…

বিস্তারিত

ঢাবি উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঢাবি উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানকে লাঞ্ছিত ও তার কার্যালয়ের তালা ভাঙচুর করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা আজ দুপুর ১২ টার দিকে প্রেস কনফারেন্স করবেন বলে জানিয়েছে। সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নিপীড়নের বিচার চাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর গতকাল মঙ্গলবার হামলা চালায় ছাত্রলীগ। প্রায় এক ঘণ্টার ওই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, মলচত্বর, সূর্যসেন হলসহ আশপাশের এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল…

বিস্তারিত

হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো হাত নেই: সোহাগ

হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো হাত নেই: সোহাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবার হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চার পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখে আসছি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার হচ্ছিল। বহিরাগত ও বাম সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি স্যার অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দফা এক দাবি, বাম সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি এসব কথা বলেন। সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আন্দোলনকারীরা…

বিস্তারিত

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এপিএস কানিজ ফাতেমা চৈতী

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এপিএস কানিজ ফাতেমা চৈতী

নিজের মেয়ে বেগম কানিজ ফাতেমা চৈতীকে নিজের সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আলিয়া মেহের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এমপির অভিপ্রায় অনুসারে বেগম কানিজ ফাতেমা (চৈতি), পিতা কাজী কেরামত আলী, মাতা রেবেকা সুলতানা-কে প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হল।’ প্রজ্ঞাপনে কানিজ ফাতেমার বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করা হয় নিকুঞ্জ-১, ঢাকা। আর স্থানীয় ঠিকানায় বলা হয়েছে- রাজবাড়ি সদরের সজ্জনকান্দা। প্রজ্ঞাপনে আরও…

বিস্তারিত

অবরুদ্ধ ঢাবি ভিসি উদ্ধার, বিক্ষোভকারীদের পিটুনি ছাত্রলীগের

বিক্ষোভের মুখে প্রশাসনিক ভবনে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে উদ্ধার করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ৫ দফা দাবিতে ফটক ভেঙে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন।আন্দোলনকারীদের সরাতে গিয়ে চড়াও হয় ছাত্রলীগ। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উপাচার্যকে উদ্ধারে আসা ছাত্রলীগের সঙ্গে এক দফায় বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি হয়। পরে রড নিয়ে এসে পিটুনি দেয়া হয় বিক্ষোভকারীদের অন্তত তিনজনকে। কিছুক্ষণ পর পেটানো হয় ব্যাপকভাবে। বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টা থেকে বিকাল সোয়া তিনটা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। আর ঘণ্টা তিনেক পর সেখানে আসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত ১৫ জুলাই সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের চড়াও হওয়া এবং সেদিন মেয়েদের প্রতি কটূক্তি ও ‘যৌন হয়রানি’র ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারের দাবি করে আসছে বিক্ষোভকারীরা। নিপীড়নবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই আন্দোলনে মূলত বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। আজকের এই কর্মসূচিতে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন কান্তি দাশ, বাম নেত্রী উম্মে হাবিবা বেনজীর এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কয়েকজন নেতা নেতৃত্ব দেন। তারা উপাচার্যকে তার কক্ষের বাইরে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানচ্ছিলনে। কিন্তু উপাচার্য তার কক্ষের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জড়ো হন শ দুয়েক শিক্ষার্থী। পরে তারা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে যান। কিন্তু কার্যালয়ের কর্মীরা ভেতর থেকে লোহার ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ফটকে ধাক্কা দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সেটি ভেঙে যায়। এরপর ভেতরে ঢুকে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। সিনেট ভবনে অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে যোগ দিতে উপাচার্য বেলা তিনটা ১০ মিনিটে বের হন তার কক্ষ থেকে। এরপর তাকে, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং শিক্ষক সমিতির নেতাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভকারীরা। তারা ‘যৌন নিপীড়নে’ জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তখনই বহিষ্কারের দাবি জানাতে থাকেন। এসময় হ্যান্ডমাইকে একজন বলতে থাকেন, ‘আপনাকে এই মুহূর্তে ছাত্রলীগের কর্মীদের বহিষ্কার করতে হবে এবং প্রক্টরকে পদত্যাগ করাতে হবে। অন্যথায় আমরা আপনাকে ছাড়ব না। কোনো অ্যাকাডেমিক মিটিং হবে না।’ উপাচার্য এ সময় বলেন, ‘তদন্ত কমিটি হয়েছে, এর প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এর জন্য সময় লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের বিচার হবে। সময়ের প্রয়োজন। আমাদের আইন অনুসারে সব করতে হবে।’ এসময় বিক্ষোভকারীরা সমস্বরে সবাই ‘না’ বলে চিৎকার করে বলেন, ‘আইনের অজুহাত মানব না। যা করার এখনই করতে হবে।’ প্রায় আধা ঘণ্টা উপাচার্য এভাবেই আটকা পড়েন বিক্ষোভকারীদের মাঝখানে। একপর্যায়ে উপাচার্যকে ঘুষি মারেন তানভীর আহমেদ মুঈন নামের এক বিক্ষোভকারী। তিনি একটি বামসংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এই পরিস্থিতিতে দৃশ্যপটে আসে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী উপাচার্যকে বিক্ষোভকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। তারা বিক্ষোভকারীদের হ্যান্ডমাইক আছড়ে ফেলে ভেঙে ফেলেন। এরপর উপাচার্যের কক্ষের এক পাশে ছাত্রলীগ এবং অপর পাশে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয় স্লোগান দিতে থাকে। এর মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির কিছু নেতা-কর্মী নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে তারা আবার ফিরে আসেন। বেলা চারটার দিকে ছাত্রলীগের ১০ থকে ১৫ জন কর্মী রড হাতে উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। তারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এতে দুজন মেয়ে এবং একজন ছেলে আহত হয়। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একটি বড় মিছিল ঘটনাস্থলে আসে। এই মিছিলেরও নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির। উপাচার্য কার্যালয়ের দুই দিকের দুই গেটে অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। ছাত্রলীগের মিছিলে আছে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আর বিক্ষোভকারীদের পক্ষে আছেন শ দেড়েক। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভকারীদের তাড়া দিয়ে পেটানো শুরু করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এসময় বিক্ষোভকারীরা নিরাপদ জায়গায় যেতে ছুটতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহাজাদা বলেন, ‘আমরা এইখানে ছাত্রলীগ হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি সাথারণ ছাত্র হিসেবে। কারণ রাজনৈতিক পরিচয়ের আগে আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা ছাত্র। আমরা গিয়েছিলাম আমাদের অভিভাবক উপাচার্য স্যারকে উদ্ধার করতে। কাউকে আক্রমণের উদ্দেশ্য নয়।’ উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি সাত সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে সে আন্দোলন এখন চার দফায় গড়িয়েছে। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ওই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ আছে। একই কর্মসূচিতে থাকা মেয়েদেরকে সেদিন কটূক্তি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। আর এরপর থেকে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বহিষ্কারের দাবি যোগ হয়। এই দাবিতে ১৭ জানুয়ারি শিক্ষা্থীরা প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও করতে যায়। কিন্তু ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখার পর ওই ফটক ভেঙে ফেলে শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় আবার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কারও নাম উল্লেখ না করে ৫০ থেকৈ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় শাহবাগ থানায়। প্রক্টর কার্যালয়ের ফটক ভাঙচুরের ভিডিও ও স্থিরচিত্রও দেয়া হয়।ওই রাত থেকেই আবার নতুন দাবি যোগ হয় শিক্ষা্র্থীদের। মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও জানাতে থাকে তারা। আর আন্দোলনের মুখে যৌন হয়রানির তদন্তে বৃহস্পতিবার কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থা নিতে রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না দেখে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হয়।

বিক্ষোভের মুখে প্রশাসনিক ভবনে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে উদ্ধার করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ৫ দফা দাবিতে ফটক ভেঙে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিকেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন।আন্দোলনকারীদের সরাতে গিয়ে চড়াও হয় ছাত্রলীগ। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উপাচার্যকে উদ্ধারে আসা ছাত্রলীগের সঙ্গে এক দফায় বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতি হয়। পরে রড নিয়ে এসে পিটুনি দেয়া হয় বিক্ষোভকারীদের অন্তত…

বিস্তারিত

এসএসসি পরীক্ষার সময় ‘ফেসবুক-টুইটার’ বন্ধ থাকবে : শিক্ষামন্ত্রী

আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন ৩ ঘণ্টা সারাদেশে ফেসবুক-টুইটারসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা জানান। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে এবং বিকেলের পরীক্ষা ২টা থেকে শুরু হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।

বিস্তারিত