প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ঈমানের পর গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আমল হলো প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। নামাজের পরই সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতেক্যের ওপর বছরে এক মাস রোজা রাখা ফরজ। রমজানে রোজার গুরুত্ব আল্লাহর কাছে সব থেকে বেশি। একবার বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা রা. বলেছিলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাকে অতি উত্তম কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন।’ রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ এর সমমর্যাদার আর কোনো আমল নেই। (নাসায়ি) রমজানের পুরো মাসটি মুমিনের জীবনে বরকত বয়ে আনে। এ মাসের প্রত্যেক দশকে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য বিশেষ তিনটি পুরস্কার রেখেছেন। পুরো মাস…
বিস্তারিতCategory: ধর্ম ও জীবন
ধর্ম ও জীবন | ইংশা আল্লাহ কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে
ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্ন-উত্তর কোথায় পাওয়া যাবে?,
ইসলামিক অনলাইন মিডিয়া – পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর আলোকে, ইসলামিক ওয়েবসাইট
চাঁদ দেখে রোজা রাখার গুরুত্ব
আরবি বা ইসলামি বর্ষপঞ্জির মাসগুলো শুরু হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা, ঈদ, কোরবানির দিন তারিখ নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার পর। অধিকাংশ আরবি মাস ২৯ অথবা ত্রিশদিনের হয়ে থাকে। তাই রমজানের শুরুর দিনক্ষণ জানতে শাবান মাস শেষে রমজানের চাঁদ দেখার এবং চাঁদ উঠার সঠিক খবরের অপেক্ষায় থাকেন পুরো বিশ্বের মুসলমানেরা। আবার রমজানের শেষে ঈদ পালন করা হয় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। রোজা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙা ও ঈদ পালনের বিষয়টি মূলত হাদিসের নির্দেশনা ও…
বিস্তারিতএ বছর রোজা কয়টি হতে পারে জানাল আমিরাত
পবিত্র রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে বলে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জানিয়েছে জ্যোর্তিবিদরা। তারা আরও বলেছে, এ বছর রোজা ৩০টি হবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য ৬দিন ছুটি পাবেন। তবে রজমান শুরুর বিষয়টি নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। জ্যোর্তিবিদরা বলছেন, আগামী ১১ মার্চ খালি চোখেই রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। সে অনুযায়ী ১২ মার্চ থেকে পবিত্র রোজা শুরু হবে। দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপের পরিচালক খাদিজাহ আহমেদ খালিজ টাইমসকে বলেছেন, জ্যোতির্বিদ্যা ম্যাপ অনুযায়ী, ১১ মার্চ অনেক অঞ্চলে খালি চোখে অর্ধচন্দ্র…
বিস্তারিতপবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত
পবিত্র রমজান মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন।আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়।সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম। [সূরা ইউনুস : ৫৮] পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা।যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেন : তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফজিলত বর্ণনা করে বলতেন…
বিস্তারিতরমজানের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত?
রমজানের প্রস্তুতি বলতে সাধারণত আমরা কী বুঝি? আমরা বুঝি ধুমধাম বাজার ঘাট করা, বাড়তি খাবার সঞ্চয় করা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আগে আগে কিনে রাখা ইত্যাদি। টিভি চ্যানেলগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রাম রিলিজের প্রস্তুতিতে। কোন দিন কী ধরণের প্রোগ্রাম রিলিজ করা যায়, কোন অতিথিকে ইনভাইট করা যায়? তাদের নাম সাজানো, প্রোগ্রামগুলোকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার নানা রকমের প্রচেষ্টা। অন্যদিকে মাদরাসাগুলোতে আয়োজন করা হয় অবসরকালীন বিভিন্ন কোর্স। কেউ ইংরেজি কোর্স, কেউ আরবি কোর্স, কেউবা নাহু-সরফের কোর্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রমাজানুল মোবারক মাসটি একটি আধ্যাত্মিক জার্নি। তাই এই…
বিস্তারিতনবজাতকের কানে আজান দেওয়া হয় কেন?
মুসলিম নবজাতকের জন্মের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রথমেই তার কানে আজান দেওয়া হয়। শিশুর কানে আজান ও ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে বেশির ভাগ ওলামায়ে কেরাম একমত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তার নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কানে আজান দিয়েছিলেন। উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যখন আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ছেলে হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কানে নামাজের আজানের ন্যায় আজান দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস, ৫১০৫) আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ…
বিস্তারিতমুক্তির রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত
সমস্ত প্রশংসা সেই মহান প্রতিপালকের যিনি মানুষকে গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কিছু সময়কে নির্ধারিত করেছেন, যেন তারা সে সময়ে মহান প্রতিপালক’কে প্রাণভরে ডাকতে পারে ও তাদের পাপ মাফ করাতে পারে। আর প্রতিপালকের প্রিয় পাত্র হতে পারে। এই নির্দিষ্ট সময়গুলোর মধ্যে মহিমান্বিত, তাৎপর্যমন্ডিত, ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় রাত শবে বরাত। শবে বরাত শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীতে পালিত হয়। রাসুল (সা:)-এ মহিমান্বিত রাতকে ‘লাইলাতুন্ নিসফি মিন শাবান’ বা ১৫ শা’বানের রাত বলেছেন। ফার্সি শব্দ ‘শব’ অর্থ রাত/রজনী। আর বারাআত অর্থ মুক্তি, নিষ্কৃতি, অব্যাহতি, পবিত্রতা ই্যাদি। শবে বরাতের শাব্দিক অর্থ হল- মুক্তি, নিষ্কৃতি…
বিস্তারিতজুমার দিন যেসব আমলে গুনাহ মাফ হয়
ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ দিনের বিশেষ কিছু আমলে মহান আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তবে আমলগুলোও করতে হয় বিশেষ মুহূর্তে। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেসব বিশেষ মুহূর্ত ও বিশেষ আমলগুলো বর্ণনা করেছেন। সেই আমলগুলো কী? ১. জুমার দিনের বিশেষ মর্যাদা আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো—এক. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। দুই. আল্লাহ তাআলা এই দিনে…
বিস্তারিতমানুষকে যেভাবে ভালোবাসতে বলে ইসলাম
প্রেম-ভালোবাসা, দয়া-মায়া আল্লাহর সৃষ্টি। ভালোবাসার আরবি প্রতিশব্দ মহব্বত। অর্থ: হৃদ্যতা, আন্তরিকতা, আসক্তি, প্রেম, প্রণয় ইত্যাদি। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা-ভক্তি নিয়ে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকবে—এটাই ইসলামের কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহে মহব্বত পয়দা করে দিলেন। অতঃপর তোমরা তার অনুগ্রহে পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে গেলে।’ (আলে ইমরান: ১০৩) মানুষকে ভালোবাসতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। হাদিসে এসেছে, ‘এক ব্যক্তি তার কোনো (মুসলমান) ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অন্য গ্রামে রওনা হয়, পথে আল্লাহ…
বিস্তারিতপবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও ইবাদত!
ইসলাম ধর্মে চন্দ্রমাসের মধ্যে শাবান মাস হলো বিশেষ ফজিলত পূর্ণ। এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল বরাতের মতো অত্যন্ত বরকতময় রজনী। যাকে বলা হয় মাহে রমজানের আগমনী বার্তা। শাবান মাস মূলত পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস। প্রতিবারের মতো শাবান মাস মুসলমানদের কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমান্বিত রমজান মাসের সওগাত নিয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি বেশি নফল রোজা, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও নামাজ আদায় করে মাহে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘নবী করিম (সা.) কখনো নফল রোজা রাখতে শুরু করলে আমরা বলাবলি…
বিস্তারিত