নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি কামরাঙ্গীরচর থানা হেফাজতে আছেন। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | Sony showroom Bangladesh এসির দাম ২০২১| বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ৫টি এসির রিভিউ- Click Here অনলাইন শপিং বাংলাদেশ | গ্রী এসির দাম | Gree AC Showroom Bangladesh গ্রি ইনভার্টার এসির…
বিস্তারিতTag: আশুলিয়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনজনকে ধর্ষণ!
আশুলিয়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনজনকে ধর্ষণ! | Agamir Shomoy । আগামীর সময়
আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিন নারীকে দীর্ঘদিন ধরে নিজের আস্তানায় ধর্ষণ করে আসছিলেন এক ভণ্ডপীর। রোববার রাতে কুড়গাঁও এলাকার ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ভণ্ডপীর মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে তিন নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ভণ্ডপীর মনিরের আস্তানা থেকে পালিয়ে আসা এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের সহযোগী মকবুল হোসেন পালিয়ে গেছে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক শিপনকে গ্রেফতার করেছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রামে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী শিশু নাজমুন নাহার ঝুমুরকে ধর্ষণের পর খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছিল আসামি বাহার। সোমবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
আশুলিয়া (ঢাকা) : ধর্ষিত নারীরা জানান, আশুলিয়ার কুড়গাঁও এলাকায় নিজের পাঁচতলা বাড়ির পঞ্চম তলায় ভণ্ডপীর মনির আস্তানা গড়ে তোলে। ধর্মের দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া ও তাদের স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করাই ছিল তার লক্ষ্য।
প্রায় ১০ বছর আগে প্রবাসীর এক স্ত্রী ভণ্ডপীর মনিরের মুরিদ হয়েছিলেন। এরপর ‘পীরের দরবারে’ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। মনির তাকে নানা রকম কুমন্ত্রণা দিয়ে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করত। এরপর ভণ্ডপীর মনিরের নজর পড়ে ওই নারীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকেও মুরিদ করে প্রথমে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় সে। একপর্যায়ে মনির তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করত। বড় বোনের সঙ্গে তার ১৩ বছরের মেয়েও প্রায়ই ভণ্ডপীরের আস্তানায় যেত। এরই মধ্যে মনিরের নজর পড়ে তার ওপরও। তার মাকে নানাভাবে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে মনির। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ
রিজাউল হল দিপু জানান, রোববার রাতে ভণ্ডপীর মনিরের আস্তানা থেকে অপর এক নারী পালিয়ে এসে জানান, মনির তারও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় সেখান থেকে একই পরিবারের ৩ নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্ব্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে ভণ্ডপীর মনির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। পরে তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মনির হোসেন ওই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নাজমুন নাহার ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি বাহার (৩৫) সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে জানায়, শনিবার শিশু ঝুমুরের বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরছিল বাহার। এ সময় শিশু ঝুমুর আম কুড়াতে এলে বাহার তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় ঝুমুর রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে গেলে এবং বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে জানাবে বললে ধর্ষক বাহার তাকে ধরে নিয়ে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, এর আগে রোববার রাতে উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকা থেকে আসামি বাহারকে গ্রেফতার করা হয়। বাহার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কবুতরের বাড়ির আজিজুল হকের ছেলে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ রোববার রাতে ধর্ষক মো. শিপনকে গ্রেফতার করে। সে মুছাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ওয়াছিল হাজী বাড়ির আবদুল হালিমের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার ভোর থেকে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে তার স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর ধর্ষক শিপন হঠাৎ তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপরে তাকে ধর্ষণ করে। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি থাকায় ধর্ষিতা চিৎকার করলেও কেউ শোনেনি। পরে এ ঘটনা কাউকে জানালে খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় শিপন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষক শিপনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের নয়াভাংগুনি গ্রামে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় ওই শিশুর দাদি মামলা করেন। মামলার আসামি ওই ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের হাসান ফকির (৩৫)। সে সম্পর্কে শিশুটির চাচাতো বোনের স্বামী। রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত করে এটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) : বড়াইগ্রামে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে (৩২) ধর্ষণ করেছে আকুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ অভিযুক্ত আকুলকে আটক করেছে। সে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। জানা যায়, আকুল হোসেনের বাড়িতে ওই তরুণীর মা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে। রোববার সে তার মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। রাত ৮টার দিকে আকুল হোসেন তাকে একটি কাজ করে দেয়ার কথা বলে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ওই তরুণী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত আকুলকে আটক করে
আশুলিয়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনজনকে ধর্ষণ!
দুই বোন ও তাদের ছোট মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রোববার রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড পীরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে ধর্ষিতা মহিলাদেরও উদ্ধার করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ মাসুদ বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী সমস্যায় পড়ে ওই এলাকার স্বঘোষিত পীরের কাছে। পীরের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই মহিলার। একসময়ে কথিত ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতে থাকে। দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণের পর ওই মহিলার ছোট বোনের প্রতি…
বিস্তারিত